ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এই ঘটনা খতিয়ে দেখছে দেশটির পুলিশ।

প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডাকে সামাজিক মাধ্যম টুইটারে 'ইউ আর নেক্সট' লেখা ক্যাপশনসহ একটি বন্দুকের ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ হামলার পর ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তিনি এই হামলাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো চেষ্টাই করেননি। বরং সাহসের সঙ্গে হামলার শিকার দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাদের জন্য মন থেকেই জানিয়েছেন সহমর্মীতার বাণী। কেবল শোক জানিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করেননি এই মহিয়সী নারী। বরং দ্রুত নানা কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার সরকার। তাই আজ গোটা বিশ্বে শান্তির পথে নেতৃত্ব দেয়ার দূত হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন জেসিন্ডা অরডার্ন।

ধারণা করা হচ্ছে, মসজিদে হামলার পর মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং অস্ত্র আইন সংশোধন করার কারণেই জেসিন্ডাকে এমন হুমকি দেয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ওই পোস্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করায় হত্যার হুমকিদাতার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পুলিশের ধারণা, টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় আগে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে এই পোস্ট করা হয়েছিল।

‘নেক্সট ইট'স ইউ’লেখা এ ধরনের আরও একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা এবং নিউজিল্যান্ডের পুলিশকে ট্যাগ করা হয়েছে।

বন্ধ করে দেয়া টুইটার অ্যাকাউন্টে মুসলিমবিরোধী বিভিন্ন বিষয় ছিল এবং সেখানে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন ঘৃণামূলক বিবৃতিও ছিল।

এক বিবৃতিতে পুলিশের মুখপাত্র বলেন, টুইটারে যে মন্তব্য করা হয়েছে সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে পুলিশ এবং এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

এদিকে গত শুক্রবারের হামলার এক সপ্তাহ পর আজ স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে আজান এবং জুমার নামাজ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এরপর ১টা ৪৮ মিনিটের দিকে জেসিন্ডাকে হত্যার হুমকির খবর সামনে আসে।

তবে সামাজিক মাধ্যম টুইটার ব্যবহার করে এ ধরনের পোস্ট করায় টুইটারের সমালোচনা করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন এ ধরনের বর্ণবাদী এবং সহিংস বার্তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না টুইটার। এর আগে ক্রাস্টচার্চে হামলার ঘটনা লাইভ করেছিল ২৮ বছর বয়সী হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।

ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনা ফেসবুকে প্রায় ১৭ মিনিট লাইভ করা হয়। এই ঘটনাতে ফেসবুকের বিরুদ্ধেও সমালোচনা হয়েছে। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তা ফেসবুক থেকে সরানো হয়নি। ফলে ওই লাইভ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং অনেকেই তা শেয়ার করেছেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত