ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

বন্ধু হত্যার প্রতিবাদে কাশ্মীরি যুবকের জেহাদ ঘোষণা

বন্ধু হত্যার প্রতিবাদে কাশ্মীরি যুবকের জেহাদ ঘোষণা

সম্প্রতি পুলিশ হেফাজতে নিহত হয়েছেন ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের এক শিক্ষক। বন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছেন শাহিদ মনজুর। একটি অডিও বার্তায় এ কথা ঘোষণাও করেছেন তিনি।

অডিও বার্তায় শাহিদ মনজুর বলেছে, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন নীতির প্রতিবাদের একমাত্র পন্থা হচ্ছে জঙ্গিবাদ ৷ ওদের দাসত্বে দীর্ঘ জীবন কাটানোর চেয়ে একটা সংক্ষিপ্ত জীবন শ্রেয়। জানি, বন্দুক হাতে তোলার পর আমার জীবনটা খুব ছোট হয়ে গেল। কিন্তু বুঝেছি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে জেহাদই একমাত্র পথ।’

শাহিদ মনজুর নিজেকে নিহত কাশ্মীরি শিক্ষক রিজওয়ানের বন্ধু বলেও দাবি করেছেন।

সম্প্রতি পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে পুলিশের তল্লাশি। নির্বিচারে চলছে ধরপাকড়। এরই মধ্যে অবন্তিপোরার বাড়ি থেকে শিক্ষক রিজওয়ান আসাদ পণ্ডিতকে (২৯) তুলে থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।

গত রবিবার পুলিশের লকআপে তার মৃত্যু হয়। তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশি নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। কেননা তার গোটা শরীর জুড়ে ছড়িয়ে ছিলো অত্যাচারের চিহ্ন। তাকে দাফন করার আগে তার শরীরের আঘাতের সমস্ত চিহ্নের ছবি তুলে রেখেছিল তার পরিবার। পরে সেসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তারা। এ নিয়ে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা কাশ্মীর।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে এল রিজওয়ানের বন্ধু শাহিদ মনজুরের অডিও বার্তা।

সেখানে তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি চেয়েছিলাম ভালভাবে পড়াশোনা করে মা,বাবার পাশে দাঁড়াব। তাই অন্যরা যখন জেহাদ নিয়ে মাথা ঘামাত, আমি তাদের বলতাম, অকারণ সময় নষ্ট করছো। কিন্তু আজ বুঝলাম, আমি ভুল ভাবতাম। লড়াই করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই নিজেদের মুক্ত করার।’

বাবা-মাকে উদ্দেশ্য শাহিদ বলেছে, ‘দুঃখিত, আমি এভাবে তোমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি। তোমাদের অনুমতিও নিতে পারিনি। কিন্তু এছাড়া আমার আর উপায় ছিল না। রিজওয়ানকে দেখার পর আমি আর দ্বিতীয় কোনও বিকল্প খুঁজে পেলাম না।’

ভারতীয় সেনা ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহিদ মনজুর জানান, কীভাবে মিথ্যে সন্দেহে তাদের উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হচ্ছে সে কথাও। জঙ্গিদের ইনফর্মার হিসেবে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রিজওয়ানকে। ‘তখন প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। রিজওয়ানকে ওদের হেফাজতে মরতেমরতে হয়েছে। আমিও সহিংস পথেই প্রতিশোধ নেব।’

অশান্ত জম্মু-কাশ্মীরে এভাবে শিক্ষিত যুবকদের জেহাদি সংগঠনে নাম লেখানোর হিড়িক বাড়তে থাকায় ভারত সরকারের ইদ্বেগ বাড়ছে।

সূত্র: আজকাল

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত