ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

১৯৫১ থেকে ভোট দিচ্ছেন, বাদ যাবে না এবারও

১৯৫১ থেকে ভোট দিচ্ছেন, বাদ যাবে না এবারও

তিনি ভারতের প্রবীণতম ভোটার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫১ সালে প্রথমবারের মত ভোট দিয়েছিলেন। দেশের সব ক’টি নির্বাচনেই ভোট দিয়েছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তার ভোট দেয়া বাদ যাবে না।

ভারতের সব নির্বাচনে ভোট দিয়ে ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছেন প্রবীণতম ভোটার শ্যামসরণ নেগি। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এই মানুষ চান, অন্যান্য ভারতীয়রাও যাতে তাদের ভোট প্রদান করেন।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সিস্টেম্যাটিক ভোটারস এডুকেশন অ্যান্ড ইলেক্টোরাল পার্টিসিপেশন প্রচারাভিযানের জন্য শ্যামসরণকে ব্র্যান্ড অ্যাম্ব্যাসাডর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তার মাধ্যমে ১৯ মে লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণের কাছে আহ্বান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা গোপাল চাঁদ।

শ্যামসরণ নেগি তার ছোট ছেলে চান্দের প্রকাশের সাথে রাজধানী থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে কিন্নৌর জেলার ছোট্ট গ্রাম কল্পাতে থাকেন। ২০১৪ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা গেছেন তার স্ত্রী প্রয়াত।

শ্যামসরণ নেগি বলেন, ‘আমি সকল ভোটার, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কাছে আবেদন করছি একজন সৎ লোককে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে, যিনি দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন।’

শ্যামসরণ নেগি শ্রবণশক্তিহীন। তারপরও তার রেডিও শোনার পুরনো অভ্যাস যায়নি। আগামী ১ জুলাই ১০৩ বছরে পা দেবেন তিনি। তিন পুত্র এবং পাঁচ কন্যাসহ তার বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি এব তাদেরও সন্তান নিয়ে ভরা সংসার।

২০০২ সালে তার বড় ছেলে মারা যান। চান্দ প্রকাশের মতে, তার বাবা নিজস্ব রুটিন অনুযায়ী কাজ করেন এবং এখনও চোখে বেশ ভালোই দেখতে পান। নির্বাচনের কর্মকর্তাদের একটি দল গত সপ্তাহেই শ্যামসরণ নেগির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুশল বিনিময় করেন।

১৯৭৫ সালে সরকারি স্কুল থেকে অবসর নেন শ্যামসরণ নেগি। এর আগে তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে ১৯৫১ সালে প্রথম ভোট দেন চিনি লোকসভা কেন্দ্র থেকে। পরে এই কেন্দ্রের নাম হয় কিন্নৌর।

সেই সময়ে, রাজ্য ও দেশের অন্যান্য জায়গায় বরফ বেষ্টিত এলাকায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালে নির্বাচন কমিশনের হীরক জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে এই প্রবীণ ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা প্রদানের জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নবীন চাওলা শ্যামসরণ নেগির গ্রামে যান।

শ্যামসরণ নেগি ১৯৫১ সাল থেকে প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন, বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ভোট দেবেন বলেই অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ভোট দেব এবং সবার প্রথম যারা ভোট দেবে তাদের মধ্যে প্রথম আমিই ভোট দেব।’

নির্বাচন বিভাগের কাছে শ্যামসরণ নেগির একটি ভিডিও রয়েছে। সেই ভিডিওতে ধরা আছে ২০০৭, ২০১২ এবং ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এবং ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন এই প্রবীণ মানুষ।

কল্পা গ্রাম মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের অংশ, যার মধ্যে কুলু এবং মান্ডি সহ চাম্বা ও শিমলা জেলার অংশ রয়েছে। রয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত কিন্নৌর ও লাহুল ও স্পিতি জেলাও।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত