পাউডারের পর জনসন বেবি শ্যাম্পুতেও ক্যানসারের উপাদান
জনসন বেবি পাউডারের পর এবার ওই কোম্পানির বেবি শ্যাম্পুতেও মিলেছে মারাত্মক ক্ষতিকারক উপাদান, যা থেকে ক্যানসার হতে পারে।
ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের পরীক্ষায় প্রথম সারির মার্কিন সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের ছোটদের জন্য তৈরি শ্যাম্পুতে পাওয়া গেছে এই ক্ষতিকর উপাদান।
স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানায়, রাজস্থান সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ গত ৫ মার্চ এই সংস্থার দু’টি পৃথক ব্যাচের বেবি শ্যাম্পুর নমুনা সংগ্রহ করে। সেই গুনমান পরীক্ষায় কোনও শ্যাম্পুই পাশ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে রাজস্থান সরকার। ওই পরীক্ষায় বেবি শ্যাম্পুতে মিলেছে ক্ষতিকর ফর্ম্যালডিহাইড, যা থেকে হতে পারে ক্যানসার।
তবে রাজস্থান সরকারের আনা এ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জনসন অ্যান্ড জনসনের মুখপাত্র। তার দাবি, শ্যাম্পুতে কোনোভাবেই ফর্ম্যালডিহাইড দেওয়া হয় না। এমন কোনও উপাদানও ব্যবহার করা হয় না, যা থেকে ফর্ম্যালডিহাইড নির্গত হয়।
পণ্য সংরক্ষণের জন্য আগে ফর্ম্যালডিহাইড ব্যবহার করা হত। তবে বর্তমানে তা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
জনসন কোম্পানি বলছে, শ্যাম্পুর গুণগত মান অটুট রাখতে ফর্ম্যালডিহাইড ব্যবহার করার কোনও প্রয়োজনই নেই। শিশু পণ্য-সহ যে কোনো পণ্যের গুণমান বজায় রাখতে সব রকম সতর্কতা পালন করা হয় বলেও সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।
বিশ্বের বাজারে প্রথম সারির এই শিশু পণ্য উৎপাদনকারী ও বিক্রেতা সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, সংস্থার নিজস্ব গবেষণাগারে নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় এই বেবি শ্যাম্পু। এখনও পর্যন্ত তাতে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। যদিও তাদের এ দাবি মানতে নারাজ রাজস্তানের রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই কোম্পানির ট্যালকম পাউডার, বেবি পাউডার ও শাওয়ার পাউডারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠে যুক্তরাষ্ট্রে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জনসন অ্যান্ড জনসনকে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের আদালত।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এমএ/