ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

এ যাবৎকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল তালাক

এ যাবৎকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল তালাক

বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে সমঝোতায় পৌঁছেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস। ২৫ বছর একসঙ্গে থাকার পর গত জানুয়ারিতে টুইট করে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন অনলাইনে পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোস ও ম্যাকেঞ্জি।

বিচ্ছেদের চুক্তি অনুযায়ী আমাজনের ৪ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা পাচ্ছেন ম্যাকেঞ্জি। তবে কোম্পানির বোর্ডে তার ভোটিং ক্ষমতা তিনি বেজোসের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে আমাজনে বেজোসের শেয়ার আর সম্পদের পরিমাণ কমলেও কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ তার কাছেই থাকছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট আর বেজোসের স্পেস ট্র্যাভেল ফার্ম ব্লু অরিজিনের শেয়ারের ভাগও বেজোসকে দিয়ে যাচ্ছেন ম্যাকেঞ্জি।

এদিকে হাজার কোটি ডলারের এই বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে। কেননা এর আগে আর কোনো তালাকের ক্ষেত্রে এত বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়নি। বিবিসি’র মতে, বেজোস-ম্যাকেঞ্জির সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারের এই বিচ্ছেদ আগের সব রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়েছে।

এর আগে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ডিভোর্সের রেকর্ড ছিল আর্ট ডিলার অ্যালেক ওয়াইল্ডেনস্টাইন ও তার স্ত্রী জোসেলিনের। ১৯৯৯ সালে সেই ডিভোর্স হয়েছিল ৩৮০ কোটি ডলারে।

বেজোস আর ম্যাকেঞ্জির ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেছিলেন। তখনও আমাজনের যাত্রা শুরু হয়নি। সে সময় তার দুজনেই কাজ করতেন হেজ ফান্ড ডি ইতে। বেজোস আমাজন প্রতিষ্ঠা করলে সেখানে যোগ দেন ম্যাকেঞ্জিও। তিনি ছিলেন আমাজনের প্রথম কর্মীদের একজন।

সেই আমাজন এখন পরিণত হয়েছে বিরাট এক প্রতিষ্ঠানে। গতবছর এই ই-কমার্স কোম্পানির বিক্রির পরিমাণ ছিল ২৩২.৮ বিলিয়ন ডলার। এই আমাজনই বেজোসকে ১৩৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক করেছে। তাকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর মর্যাদাও দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। একে একে চার চারটি সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তারা। কিন্তু এখন বেজোসের পরকীয়ার জের ধরে ভেঙে যাচ্ছে তাদের সংসার।

ফক্স টিভির সাবেক উপস্থাপিকা লরেন সানচেজের সঙ্গে তার প্রেম চলছে বলে বাজারে জোর গুঞ্জন রয়েছে। যদিও বিষয়টি এখনও স্বীকার করেননি বেজোস।

এদিকে বিচ্ছেদের মাশুল গুণতে গিয়ে বেজোসকে এখন শীর্ষ ধনীর মুকুট হারাতে হবে। সেক্ষেত্রে হয়ত ধনীদের তালিকায় আবার শীর্ষস্থানে ফিরবেন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

ফোর্বস জানিয়েছে, ডিভোর্সের মাধ্যমে যে টাকার মালিক হচ্ছেন ম্যাকেঞ্জি, তাতে তিনি পরিণত হচ্ছেন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী নারীতে।

অবশ্য ওয়াশিংটন রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী তিনি যদি বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে বেজোসের সম্পদের আধাআধি ভাগ চাইতেন, তাহলে বিশ্বের সেরা ধনী নারীর তালিকায় তার নাম থাকত সবার ওপরে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত