‘মানুষের রক্ত ও মাংসের টুকরো লেগেছিল গির্জার দেয়ালে’
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০০:৫৮
ইস্টার সানডে উপলক্ষে প্রার্থনা চলছিল। প্রার্থনা শেষ হওয়ার পর বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিকট শব্দের পর দেখা যায় গির্জাটিতে নিথর হয়ে আছে ত্রিশটির মত লাশ। শ্রীলঙ্কার একটি গির্জার ফাদার এডমন্ড তিলকারত্নে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ‘মানুষের ছিন্নভিন্ন মাংসের টুকরো ও রক্ত দেওয়ালে লেগেছিল। এমনকি গির্জার বাইরেও গিয়ে পড়ে।
শ্রীলঙ্কার পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহর নেগম্বোর সেন্ট সেবাস্টিয়ান গির্জার অবস্থা এমনই হয়েছিল বিস্ফোরণের পর। ওই গির্জারই ফাদার এডমন্ড তিলকারত্নে।
ইস্টার সানডেতে গির্জা, অভিজাত হোটেল ও রাজধানীর কলম্বোর বাইরে দুটিসহ মোট আটটি সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন গির্জাটির ফাদার এডমন্ড। তিনি বলেন, ‘এটা একটা বিশেষ দিন ছিল। অনেক মানুষ আশেপাশের গ্রাম থেকে এসেছিল গির্জায়।’
ওই গির্জায় যিশু খ্রিস্টের একটি মূর্তি আছে। সেখানেও লাগে রক্ত-মাংসের দাগ।
শ্রীলঙ্কার পশ্চিমাঞ্চলের ওই গির্জাটি বেশ পুরনো। ১৯৩৬ সালে গির্জাটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৪৬ সালে। শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থানে সকাল পৌনে ৯টার দিকে বোমা বিস্ফোরণ শুরু হয়। একে একে একাধিক গির্জা ও হোটেলে আটটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বাড়তে থাকে নিহত মানুষের সংখ্যা।
ইস্টার সানডের প্রার্থনায় অংশ নিতে গিয়ে মুহূর্তে এসব মানুষ হয়ে যায় লাশ। সন্ধ্যা নাগাদ নিহতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২০৭ জনে দাঁড়ায়।
আহত অনেকের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যায়। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ৪৫০ জন আহত হয়েছে।