ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

৯ হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কা

৯ হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কা

ইস্টার সানডের দিন সকালে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত ৯ আত্মঘাতী হামরাকারীর নাম প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। ভয়াবহ ওই হামলায় ২৫৩ জন নিহত এবং আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আত্মঘাতী হামলাকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা বুধবার নিশ্চিত করেছেন যে, দুটি বিলাসবহুল হোটেলে দুই ভাই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। তারা কলম্বোর একটি ধনী পরিবারের সন্তান। ওই পরিবারটি মসলা রফতানি করে থাকে।

হামলার জন্য জঙ্গিরা এক একটি স্থানে এক একজন আত্মঘাতীকে পাঠিয়েছিল। তবে ব্যতিক্রম ছিল সাংরি লা হোটেল। সেখানে দু'জনকে পাঠানো হয়েছিল। তারা দুটি বিস্ফোরণ ঘটায়।

সাংরি লা হোটেলের হামলাকারীদের একজন হলেন জাহরান হাসিম। তিনি স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের নেতা। অপরজন ইলহাম আহমেদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তারা দুজন মিলে ওই হোটেলে আত্মঘাতী হামলা চালায়।

ওই হামলার জন্য দেশটির সরকার তাওহীদ জামাতকে দায়ী করে আসছে। যদিও হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। সম্প্রতি তাওহীদ জামাতসহ দুটি ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কা।

অপরদিকে ইলহামের বড় ভাই ইনসাফ আহমেদ কাছাকাছি চিনামোন গ্র্যান্ড হোটেলে হামলা চালায়।

হামলার তৃতীয় স্থান ছিল কিংসবারি হোটেল। সেখানে হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ আজম মুবারক মোহাম্মদ। তার স্ত্রী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন।

সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ মুয়াজ। তার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরদিকে সেন্ট সেবাসতিয়ান গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ হাসথুন। তিনি পূর্ব উপকূলের বাসিন্দা। হাশিমও ওই এলাকার বাসিন্দা। পূর্বাঞ্চলীয় বাতিকালোয়া জেলার ক্রিশ্চিয়ান জিওন গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ নাসের মোহাম্মদ আসাদ।

অপর এক ব্যক্তি আরও একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তবে সে তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটায় রাজধানীর কাছে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউসে। ওই ব্যক্তির নাম আবদুল লতিফ। তিনি ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশুনা করে শ্রীলঙ্কায় বসবাস করছিলেন।

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার্ন সানডের হামলায় অংশ নিয়েছিলো ফাতিমা ইলহাম নামের এক নারী। তিনি এক আত্মঘাতী হামলাকারীর স্ত্রী। তিনি তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটালে তার দুই শিশু এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।

পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা আরো জানান, সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রয়োগের মাধ্যেমে এসব সন্ত্রাসীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে।

সূত্র: টাইমস অনলাইন

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত