ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাস্তায় পুরুষদের সঙ্গে দৌড়াচ্ছেন সৌদি নারীরা

রাস্তায় পুরুষদের সঙ্গে দৌড়াচ্ছেন সৌদি নারীরা

‘দৌড়ানো শুরু করার পর আমার জীবনে ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন হয়েছে।’ এমনটাই বলছিলেন সৌদি তরুণী নোহা আহমেদ। তিনি গত কয়েক বছর ধরে একটি গ্রুপের সাথে নিয়মিত দৌড়ান।

তাদের এই দৌড় অনুশীলনটা হয়ে থাকে রাস্তায়ই, যেটি সৌদি আরবের মত রক্ষণশীল একটি দেশে খুবই বিরল দৃশ্য।

সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে ২০১৩ সালে গঠন করা হয়েছে ‘জেদ্দা রানিং কমিউনিটি’। এর উদ্দেশ্য ছিল সৌদি প্রথাগত ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে নারীদের ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিতির বিষয়টিকে জনপ্রিয় করা।

সৌদি আরবে নারী ও পুরুষদের একসাথে অনুশীলনের সুযোগ করে দেয়া প্রথম গ্রুপগুলোর একটি জেদ্দা রানিং কমিউনিটি। তবে এই গ্রুপের পক্ষ থেকে নারীদের জন্য আলাদা অনুশীলনেরও আয়োজন করা হয়।

আসমা এল-সাঈদ নামে গ্রুপের এক সদস্য বলেন, ‘শুরুর দিকে রাস্তায় দৌড়াতে কিছুটা অপ্রস্তুত লাগতো, কারণ আশেপাশের মানুষজন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতো। কিন্তু একবার আপনি যখন দৌড়ানো শুরু করবেন, তখন পৃথিবীর সবকিছু ভুলে যাবেন এবং শুধু দৌড় উপভোগ করবেন।’

এই গ্রুপের জনপ্রিয়তা দেখে সৌদি আরবের অন্যান্য শহরেও একই ধরনের গ্রুপ তৈরি হয়েছে।

নোহা আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে আপনি বলতেই পারেন যে, ক্রীড়াঙ্গনে সৌদি নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি সুবিধা পায়। কারণ নারীদের খেলার পেছনে বর্তমানে প্রচুর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’

জেদ্দা রানিং কমিউনিটির পরিচালক নাসরিন সৌদি নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে সফল হিসেবে দেখতে চান। তিনি বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে অংশগ্রহণের জন্য সৌদি নারীদের যেই সুযোগটি দেয়া হয়েছে, আমি চাই তারা সেটিকে কাজে লাগাক। নারীরা চাইলে যে কোনো কিছুকেই সম্ভব করতে পারেন, শুধু একটু চেষ্টা প্রয়োজন।’

জেদ্দা রানিং কমিউনিটির সদস্যরা

রক্ষণশীল উপসাগরীয় রাষ্ট্র সৌদি আরব তাদের দেশের নারীদের খেলাধুলায় আগ্রহী করতে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারি স্কুলে নারীদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করা এবং স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ দেখার জন্য নারীদের অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে নারীদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করতে।

২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে প্রথমবারের মত নারী অ্যাথলিটও পাঠায় সৌদি আরব।

সম্প্রতি সৌদি আরবের রাস্তায় একা গাড়ি চালানোর জন্য নারীদের অনুমতি দেয়া হলেও এখনো অনেক কিছুতেই পুরুষদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় তাদের। কোনো পুরুষ আত্মীয়ের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করা, বিয়ে ভাঙা, ভ্রমণ করা বা কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ারও অনুমতি নেই সৌদি নারীদের।

তবে নারীদের রাস্তায় দৌড়ানোর বিষয়ে সৌদি আরবে কোন বিশেষ আইন নেই।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত