ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাঝরাতে ঘরের মেঝেতে কুমির

মাঝরাতে ঘরের মেঝেতে কুমির

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় রাত সাড়ে তিনটার সময় ঘুম ভেঙ্গে মেরি উইসুচেনের মনে হলো তিনি রান্নাঘরে কিছু পড়ে যাবার শব্দ শুনেছেন। কী হয়েছে তা দেখার জন্য বিছানা থেকে উঠে গেলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে যা দেখলেন তা যেন দুঃস্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু।

তার রান্নাঘরের মেঝেতে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে ১১ ফুট লম্বা এক কুমির। আর বিশাল লেজের আঘাতে জিনিসপত্র উল্টেপাল্টে ফেলছে। একই সঙ্গে হুঙ্কার করছে। ইতিমধ্যে সে রান্নাঘরের জানালার কাঁচ ভেঙ্গেছে। এই দৃশ্য দেখে ভয়ে সেখান থেকে সরে যান মেরি।

এরপর ঠাণ্ডা মাথায় তিনি জরুরি সাহায্যের জন্য ফোন দেন ৯১১ নাম্বারে। এরপর ফোন দেন পরিবেশ বিভাগে।

ক্লিয়ারওয়াটার পুলিশ জানিয়েছে, কুমিরটি একটি পুরুষ কুমির। তাদের ধারণা কাছাকাছি কোন কুমির প্রজনন কেন্দ্র বা চিড়িয়াখানা থেকে হয়তো পালিয়ে এসেছে। পরে স্থানীয় একজন শিকারিকে খবর দিয়ে আনা হয়। তিনি জালে আটকে কুমিরটিকে ধরে স্থানীয় এক চিড়িয়াখানার পরীক্ষাগারে দিয়ে আসেন। কিন্তু বেরিয়ে যাবার আগে কুমিরটি মেরির ওয়াইন র‍্যাক উল্টে ফেলে। কুমিরটি এক ঘণ্টা ছিল মেরির বাড়িতে। তবে এ সময় কেউ হতাহত হয়নি।

ফ্লোরিডায় বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় কঠোর আইন থাকায় প্রাণ সংশয় না হলে কেউ প্রাণী হত্যা করতে পারেনা, যে কারণে সেখানে কুমিরের সংখ্যা গত কয়েক বছরে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে প্রায়ই রাস্তাঘাটে এবং মানুষের বাড়িতে চলে আসে কুমির। ফ্লোরিডায় কেবল ২০১৮ সালেই আট হাজারের বেশি কুমির মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তবে কুমিরের আক্রমণে অনেক সময় মানুষের আহত এবং নিহত হবার খবরও পাওয়া যায়। যদিও সে সংখ্যা আনুপাতিক হারে উদ্বেগজনক নয়।

যদিও গত জুনে এক বাড়িতে কুমিরের আক্রমণে মারা যান একজন নারী। ১৯৪৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ফ্লোরিডায় কুমিরের আক্রমণে মাত্র ২২ জন মানুষ মারা গেছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত