রূপকথার গ্রাম মিঠি
হিন্দুরা ইফতার করে, গোমাংস খায় না মুসলিমরা
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০১৯, ১০:৩৭ আপডেট : ০৭ জুন ২০১৯, ১০:৪৩
গ্রামের নাম মিঠি। করাচি থেকে ২৭৮ কিলোমিটার দূরে সুন্দর মরুভূমি এলাকায় অবস্থিত এই গ্রাম। ১৯৯০ সালে গ্রামটিকে থারপারকর জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এই গ্রামে মুসলিমরা সংখ্যালঘু। এই গ্রামকে অনেকে রূপকথার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। কারণ এই গ্রামের বাসিন্দাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এই সম্প্রতীতির কারণেই এখানে কোনোদিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি।
পাকিস্তান গঠনের পর থেকেই এখানে হিন্দু মুসলিম দুই সম্প্রদায়ই একসঙ্গে বসবাস করছে। মুসলিমরা হিন্দুদের ধর্মরক্ষার খাতিরে গোহত্যা করেন না। আবার হিন্দুরাও মুসলিম ধর্মের কথা ভেবে রমজান মাসে বিয়ের অনুষ্ঠান রাখেন না। আবার রমজান মাসে মুসলিমদের জন্য ইফতারের আয়োজন হিন্দুরাই করে থাকেন।
ঈদ বা দীপাবলি সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই দুই সম্প্রদায় সমানভাবে অংশগ্রহণ করে। গোটা পাকিস্তানে মিঠি গ্রামেই অপরাধের সংখ্যা সবচেয়ে কম। এখানে অপরাধের সংখ্যা দুই শতাংশেরও কম। পাকিস্তান জন্মের পর থেকে এই গ্রামে আজ পর্যন্ত ধর্মীয় হানাহানির ঘটনা ঘটেনি।
সীমান্তে অশান্তি তৈরিতে মদত বা প্রতিবেশী দেশে হামলা চালানোর পেছনে পাকিস্তানের নামই আগে উঠে আসে। সেই দেশের আরেকটি পরিচয় হল এই মিঠি গ্রাম।
বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি