ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

হংকং বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে যে ছাত্র

হংকং বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে যে ছাত্র
জোশুয়া ওং

হংকংয়ের ২২ বছর বয়সী ছাত্র জোশুয়া ওং। তিনি হংকং বিক্ষোভের একজন কেন্দ্রীয় আন্দোলনকারী এবং মাত্র সোমবারই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে।

কারাগার থেকে বের হওয়ার পরই তিনি বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন বিক্ষোভে তিনিও যোগ দেয়ার কথা জানান। এই বিল অনুসারে অপরাধীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণ করার বিধান রয়েছে। ফলে বিক্ষোভকারীরা হংকংয়ের বেইজিংপন্থী নেতা ক্যারি লামের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

যদিও লাম শনিবারই ওই বিল স্থগিত করেছেন এবং এ নিয়ে বিতর্ক জন্ম দেয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন।

জোশুয়া ওং কে?

২০১৪ সালের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন যা আমব্রেলা মুভমেন্ট হিসেবে পরিচিত হয় সেই আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনে দাবি ছিল, বেইজিং পন্থী নেতাদের তালিকা থেকে বেইজিং এ অনুমোদিত কোনো নেতার বদলে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রার্থী ওং এবং অন্যান্য ছাত্র নেতারা সেই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন।

তখন ৭৯ দিন ধরে হাজার হাজার মানুষ হংকং এর কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক সড়কে ক্যাম্প গেড়ে বসে এবং শহরটি স্থবির হয়ে পড়ে।

ছাত্র বিক্ষোভকারীরা, কতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ব্যাপ্টিস্ট মন্ত্রীদের সাথে-পরবর্তীতে বেআইনি সমাবেশের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে বন্দী হন। বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে ওং-কে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে দুটো আলাদা কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। কিন্তু দণ্ডাদেশের মেয়াদ কমিয়ে দেয়ার পর সোমবার তিনি মুক্তি পায়।

সোমবার ছাড়ার পাবার পরই লামের পদত্যাগের দাবি তুলে ওং বলেছেন: ‘ক্যারি লামকে সরে যেতে হবে। তিনি হংকংয়ের নেতা হবার উপযুক্ত নন।’

আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতি এই প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে তা ২০১৪ সালের আন্দোলনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আর এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ওং। ‘এখন এটাই সময় জোরালো কণ্ঠে আমাদের অসন্তুষ্টির কথা তুলে ধরার’,বলেন জোশুয়া ওং।

তিনি মনে করেন এই প্রত্যর্পণ আইনের সংশোধন হংকং এর মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকারকে দমন করার চেষ্টা করছে।

বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে ওং বলেন, ‘আমাদের দাবি এই আইনের সাময়িক স্থগিতাদেশের পরিবর্তে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।’

জোশুয়া ওং বলেন, ‘আমরা নাগরিক আইন অমান্য করা এবং সরাসরি অ্যাকশনের মধ্য দিয়ে পুরো বিশ্বকে বোঝাবো যে, হংকংয়ের মানুষ মুখ বুজে থাকবে না।’

তিনি বিশ্বাস করেন, ধরপাকড় অভিযান এই বিক্ষোভকারীদের থামিয়ে রাখতে পারবে না।

তার ভাষায়, ‘পুলিশ যখন হংকং এ টিয়ার গ্যাস, পিপার স্প্রে ছোড়ে কিংবা কোন আন্দোলনকারীকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করে তখন তা একটি পরিষ্কার বার্তা দেয়; সরকার, শাসকগোষ্ঠী, সমগ্র একটি নাগরিক প্রজন্মকে সাধারণ বাসিন্দা থেকে বিদ্রোহী হিসেবে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’

কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদেরকে দাঙ্গাবাজ হিসেবে অভিহিত করায় তীব্র সমালোচনা করেছেন ওং। তিনি বলেন, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শারীরিকভাবে নিগৃহীত করেছে, এমনকি ক্যারি লাম বিক্ষোভকে দাঙ্গা বলে দাবি করেছেন।

এ ঘটনায় তিনি ক্যারি লামের ক্ষমা ও পদত্যাগ দাবি করেছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত