ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মার্কিন পর্যটকদের মৃত্যুকূপ যে দেশ

মার্কিন পর্যটকদের মৃত্যুকূপ যে দেশ

দেশটিতে ছুটি কাটাতে এসে একে একে নয়জন মার্কিনী নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এজন্য এ দেশটিকে এখন ‘মার্কিন পর্যটকদের মৃত্যুকূপ’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ যে মার্কিনী মারা গেছেন তিনি ছিলেন নিউজার্সির বাসিন্দা। ৫৫ বছর বয়সী জোসেফ অ্যালেনের আত্মীয়রা বলছেন, জোসেফ স্বাস্থ্যবান ছিলেন এবং প্রায়ই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে ভ্রমণে যেতেন।

শুধু জোসেফ নন, গত এক বছরে এখানে বেড়াতে এসে বেশ কয়েকজন পর্যটক মারা গেছেন। তাদের পরিবারগুলো বল, তারা সেখানকার বার থেকে মদ পান করার পর অসুস্থ হয়ে পরে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে কোন প্রকার বিষক্রিয়া হচ্ছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এসব মৃত্যুর কোন যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।

জোসেফ অ্যালেনের পরিবার বলছে জুনের ৯ তারিখে তিনি টেরা লিন্ডা রির্সোট এ যান তার একজন বন্ধুর জন্মদিন উৎযাপন করার জন্য।

তার বোন জেমি রিড এবিসি নিউজকে বলেন, গত ১২ জুন জোসেফ তার বন্ধুদের বলেন তার অতিরিক্ত গরম লাগছে এবং তিনি গোসল করে একটু আগেই ঘুমিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরের দিন তার দরজায় টোকা দিলে তিনি কোন সাড়া দেননি। এরপর দরজা খুলে দেখা যায়, তিনি মাটিতে পরে আছেন। তার দেহ ঠাণ্ডা এবং শক্ত হয়ে আছে।

জোসেফ অ্যালেন এর আত্মীয়রা বলছেন, জোসেফ স্বাস্থ্যবান ছিলেন এবং প্রায়ই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে ভ্রমণে যেতেন। এখন তার পরিবার চেষ্টা করছে, আমেরিকাতে তার মরদেহ নিয়ে যেয়ে ময়নাতদন্ত করতে। যাতে করে মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটন করা যায়।

আর কে কে মারা গেছেন?

ক্যালিফোর্নিয়া থেকে রবার্ট বেল ওয়ালেস গিয়েছিলেন এপ্রিলের ১৪ তারিখে। ৬৭ বছর বয়সী রবার্ট সেখানে অসুস্থ হয়ে পরেন। একই মাসে জন করকোরান তার হোটেলের রুমে মারা যান।

২৫ মে মারা যান মিরান্ডা। মার্কিন গণমাধ্যমে সংবাদ বের হয় তিনি তার হোটেলের মিনিবার থেকে মদ পান করার পর তিনি মারা যান। ৪১ বছরের মিরিন্ডার মরদেহ পাওয়া যায় হোটেলে চেক ইন করার কয়েক ঘণ্টা পরেই।

মে মাসের ৩০ তারিখে নিজেদের হোটেল রুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সিনথিয়া অ্যান ডে এবং এডওয়ার্ডকে। স্থানীয় তদন্তকারীরা বলেছেন তাদের দুজনের দেহের ভিতরে রক্তক্ষরণ এবং ফুসফুসে তরল পদার্থ পাওয়া গেছে।

এভাবে লেইলা কক্স, ডেভিড হ্যারিসন, ইয়াভেট মনিকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাক বলে জানা গেছে।

সব মৃত্যুই কি কাকতালীয়?

তবে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, একটা মৃত্যুর সাথে আরেকটার কোন যোগসুত্র নেই। সবগুলোই বিচ্ছিন্ন এবং স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দেখছে তারা। রাজধানী সানটো ডোমিনগোতে আমেরিকান দূতাবাস বলছে, তারা এখনো পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর সঙ্গে অন্যজনের কোনো যোগসূত্র খুঁজে পায়নি।

প্রসঙ্গত, বেড়ানোর জন্য ডোমিনিকান রিপাবলিক দেশটি আমেরিকান নাগরিকদের কাছে খুবই প্রিয়। প্রতিবছর যে ৭০ লক্ষের মত পর্যটক দেশটিতে বেড়াতে যায়, এদের অর্ধেকই মার্কিন নাগরিক।

জোসেফ অ্যালেন

সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • পঠিত