ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

টিম ইন্ডিয়ার কমলা জার্সি নিয়ে চলছে রাজনীতি

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০১৯, ১২:৪৫

টিম ইন্ডিয়ার কমলা জার্সি নিয়ে চলছে রাজনীতি

আগামী ৩০ জুন বিশ্বকাপে আইসিসির নতুন নিয়মে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কমলা রঙের জার্সি পরে খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। তবে নীল জার্সি থেকে কমলা জার্সি বদলের নেপথ্যে মোদির ষড়যন্ত্র দেখছেন ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি অভিযোগ তুলেছে শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো ক্রিকেটেও গৈরিকীকরনের পথে হাঁটছে বিজেপি।

মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু অসীম আজমির দাবি, জার্সি বদলের সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে ভারত সরকারের হাত। তিনি বলেন, গোটা ভারতকে গেরুয়াকরণ করতে চান নরেন্দ্র মোদি। ভারতের তেরঙ্গার ডিজাইন করেছিলেন এক মুসলিম। তেরঙ্গার মধ্যে রয়েছে অন্যান্য রঙ। তাহলে শুধুমাত্র গেরুয়া রঙ কেন? তেরঙ্গা দিয়ে জার্সি হলে তো ভালোই হতো।

সাবেক কংগ্রেস বিধায়ক নসীম খান বলেন, ভারতে দ্বিতীয় দফা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে গৈরিকীকরনের রাজনীতি করছেন মোদি। ভারতের জাতীয় পতাকার রঙ তেরঙ্গাকে সম্মান জানানো উচিত। ভারতের সম্প্রিতীকে তুলে ধরে তেরঙ্গা। অথচ ভারতের সব কিছুতেই গেরুয়াকরণ করছে সরকার।

অন্যদিকে এনডিএ শরিক শিবসেনা নেতা গুলাম রাও পাটিল বলেন, ভারতীত দলের জার্সি নিয়ে অকারন রাজনীতি করা হচ্ছে। বিরোধীদের আসলে কোনও কাজ নেই। সেই জন্যই তারা রঙ নিয়ে রাজনীতি করছেন।

তিনি বলেন, ভারতের জাতীয় পতাকাতেও তো গেরুয়া রঙ আছে। তাহলে কি সেই রঙ বদলে ফেলার দাবি তুলবেন বিরোধীরা? তিনি বলেন, ভারত সরকার কাউকে সবুজ রঙ পরতে তো নিষেধ করেনি। তাহলে রঙ নিয়ে কেন আপত্তি।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জুন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কমলা জার্সি পরে মাঠে নামবে ভারত। তবে ভারতের টিম ইন্ডিয়ার চিরাচরিত নীল জার্সি বদলের ক্ষেত্রে রয়েছে আইসিসির নয়া নিয়ম। ফুটবলের মতোই নতুন এই নিয়মে একই রঙের জার্সিধারী দুটি দল মাঠে নামতে পারবে না। সেক্ষেত্রে হোম টিমের জার্সি থাকবে অপরিবর্তিত। ইংল্যান্ডের এবারের জার্সির রঙ আকাশি নীল। আকাশি নীল রঙের জার্সি ভারতেরও। যে কারনে, ইংল্যান্ড হোম টিম হওয়ায় ভারতকে বদলাতে হচ্ছে জার্সি। ভারত তাই কমলা রঙের জার্সিতে নামবে।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে রঙ পছন্দ করার বিকল্প দিয়েছিলো আইসিসি। সেখানে কমলা রঙ বেছে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতের অভ্যন্তরে রাজনীতির কাদা ছোঁড়াছুড়ি।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত