ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘ট্রাম্প অযোগ্য ও অদক্ষ’

‘ট্রাম্প অযোগ্য ও অদক্ষ’

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূত কিম ডারোখ লন্ডনে কূটনৈতিক কেবলে পাঠানো এক গোপন ইমেইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ওই ইমেইলগুলো একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত হয়েছে। ওই বার্তাগুলি পাঠানো হয়েছিল ২০১৭ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত।

ওইসব মেইলে ব্রিটিশ দূত কিম ডারোখ ট্রাম্পকে অদক্ষ ও অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। কেবল তাই নয়, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে আরো বলেন, ট্রাম্প সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।

এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই ব্রিটেন-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কারণ ব্রিটেন এবং আমেরিকা বরাবরই বন্ধু-দেশ হিসেবে পরিচিত।

ইতিমধ্যে ট্রাম্প ব্রিটিশ দূত কিম ডারোখের কড়া সমালোচনা করেছেন। তার দাবি, ওই রাষ্ট্রদূত ব্রিটেনের কোনো উপকার করেনি।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব দেশের দূতই নিজের দেশের জন্য এ ধরনের গোপন বার্তা পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তু কদাচিৎ এসব বার্তা ফাঁস হয়ে গেলেই শুরু হয় নানা ঝামেলা। যা থেকে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক স্তরে তৈরি হয় চূড়ান্ত অস্বস্তি। এ ক্ষেত্রে ব্রিটেনের দূত কিম ডারোখ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মাসের পর মাস প্রচেষ্টা চালিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছিলেন, তা-ও এখন প্রশ্নের মুখে।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে দাবি, ‘অমর্যাদায় শেষ হবে ট্রাম্পের কেরিয়ার’—গোপন কেব‌্‌ল-এ ডারোখ এমন মন্তব্যও পাঠিয়েছেন ব্রিটেন সরকারকে। হোয়াইট হাউসের অন্দরে দ্বন্দ্ব সব সময়েই রয়েছে, এ কথা জানিয়ে নিজের দেশকে তিনি সতর্ক করেছেন।

ব্রিটেনের প্রশাসন সূত্রের দাবি, ট্যাবলয়েডটি যে কেব্‌লের কথা জানিয়েছে, তা ভুয়ো নয়। ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতি থেকে শুরু করে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে তার পরিকল্পনা এ সবই ডারোখের পাঠানো কেব্‌ল-এর সময়সীমার মধ্যে রয়েছে।

ট্যাবলয়েড থেকে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুনের একটি মেমোতে ডারোখ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘গত মাসে ইরানে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে ট্রাম্প কেন সরে এসেছেন?’ তাতে ডারোখেরই মন্তব্য, ‘ট্রাম্পকে শেষ মুহূর্তে জানানো হয়েছিল, ইরান মার্কিন ড্রোন নামালেও তার পাল্টা আমেরিকা হামলা চালালে কমপক্ষে ১৫০ জন নিহত হবে। আর আগামী বছরের নির্বাচনের আগে জনসমর্থন নষ্ট হয় এমন কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ তার বিশ্বাস তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস।

রাজনৈতিক ভাবে ব্রিটেনেও এখন টালামাটাল অবস্থা। কনজ়ারভেটিভ পার্টি তার নয়া নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী বাছতে ব্যস্ত। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ব্রিটেনের মানুষ আশা করেন, তাদের দূত দেশের মন্ত্রীদের সৎ, নিরপেক্ষ মতামত জানাবেন। দূতদের মতামত সব সময় ব্রিটিশ মন্ত্রী বা সরকারের মতামত নয়। তবে আমরা তাদের মতামত গুরুত্ব দিয়েই দেখি। যেমন এখানকার মার্কিন দূত ওয়েস্টমিনস্টারের রাজনীতি নিয়ে যা বিশ্লেষণ করেন, সেটা তিনি তার দেশে পাঠান। আমাদের ওয়াশিংটনে যে দল রয়েছে, তাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের মজবুত সম্পর্ক রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সে সম্পর্ক কোনও অবস্থাতেই নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’

এদিকে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজ ব্রিটেনের দূত ডারোখকে যত দ্রুত সম্ভববরখাস্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

ব্রিটিশ দূত কিম ডারোখ

সূত্র: আনন্দবাজার

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত