ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের ‘ট্রাম্প অযোগ্য’ ইমেইল ফাঁসের তদন্ত শুরু

ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের ইমেইল ফাঁসের তদন্ত শুরু

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অযোগ্য ও অদক্ষ আখ্যা দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ডারোখের পাঠানো ইমেইল কীভাবে ফাঁস হলো তা জানতে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলবে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূত কিম ডারোখ লন্ডনে কূটনৈতিক কেবলে পাঠানো এক গোপন ইমেইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। ওই

এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান টম টুগেন্ডহ্যাট বলেছেন, এভাবে তথ্য চুরি করে তা প্রকাশ করা আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। এর পেছনে যে-ই থাকুক তার বিচার করা হবে। তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ডেইলি মেইল’ পত্রিকায় ফাঁস হওয়া ইমেইল বার্তাগুলোকে অসত্য বলেনি।

অন্যদিকে ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স ব্রিটিশ দূত কিম ডারোখের ইমেইলগুলো ফাঁস করে দেয়ার সমালোচনা করে বলেন, এটি একটি অপেশাদার, অনৈতিক এবং দেশদ্রোহীতার মত কাজ হয়েছে।

এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউজও এখনো। তবে ওই ব্রিটিশ দূতের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওই রাষ্ট্রদূত ব্রিটেনের কোনো উপকার করেনি।

ব্রিটিশ ডেইলি মেইল পত্রিকা রোববার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডেরকের ওই ইমেইল বার্তাগুলো প্রকাশ করেছে। ফাঁস হওয়া ওইসব বার্তায় ডেরক ট্রাম্পের শাসনামলে হোয়াইট হাউজকে একেবারেই অকার্যকর ও বিভক্ত বলে মন্তব্য করেছেন।

ওই সব মেইলে ব্রিটিশ দূত কিম ডারোখ ট্রাম্পকে অদক্ষ ও অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। কেবল তাই নয়, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে আরো বলেন, ট্রাম্প সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ওই ইমেইলগুলো একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত হয়েছে। ওই বার্তাগুলি পাঠানো হয়েছিল ২০১৭ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত।

ইতিমধ্যে ট্রাম্প ব্রিটিশ দূত কিম ডারোখের কড়া সমালোচনা করেছেন। তার দাবি, ওই রাষ্ট্রদূত ব্রিটেনের কোনো উপকার করেনি।

এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই ব্রিটেন-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কারণ ব্রিটেন এবং আমেরিকা বরাবরই বন্ধু-দেশ হিসেবে পরিচিত।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব দেশের দূতই নিজের দেশের জন্য এ ধরনের গোপন বার্তা পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তু কদাচিৎ এসব বার্তা ফাঁস হয়ে গেলেই শুরু হয় নানা ঝামেলা। যা থেকে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক স্তরে তৈরি হয় চূড়ান্ত অস্বস্তি। এ ক্ষেত্রে ব্রিটেনের দূত কিম ডারোখ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মাসের পর মাস প্রচেষ্টা চালিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছিলেন, তা-ও এখন প্রশ্নের মুখে।

সূত্র: বিবিসি/ পার্স টুডে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত