ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

জয় শ্রীরাম না বলায় শিক্ষার্থীকে মারধর

জয় শ্রীরাম না বলায় শিক্ষার্থীকে মারধর
প্রতীকী ছবি

ভারতে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে দিনে দিনে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এই স্লোগান বলা নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই হেনস্থার শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা। এই অভিযোগের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি এলাকার এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী।

রবিবার সকালে সাগরদিঘির জনসি এলাকায় মাদ্রাসা পড়ুয়া এক কিশোরকে ধরে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানো হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে এ নিয়ে আপত্তি তোলায় রাজিবুল আলম নামের ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর মোটর সাইকেল নিয়ে উধাও হয়ে যায় দুই যুবক। উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে এর পরেই। জনসি এবং আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা প্রায় দু ঘণ্টা ধরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আটক করা হয় চারজনকে। পুলিশ জানিয়েছে আটককৃতরা সবাই দক্ষিণ দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বেশ কয়েকটি মোটরবাইকে ইসলামপুর থেকে তারকেশ্বর যাচ্ছিল জনা দশেক যুবক। ভোরের দিকে বেলপুকুর এলাকায় এসে পৌঁছায় তারা। সেই সময়ে জাতীয় সড়ক ধরে সাইকেলে মাদ্রাসা যাচ্ছিল রাজিবুল। ওই কিশোর বলছে, ‘ওরা আমার সামনে এসে মোটরবাইক থামায়। তারপর বলতে থাকে, ‘বল জয় শ্রী রাম, জোরে জোরে বল!’ আমি জানতে চাই, জয় শ্রী রামের মানে কি? তখন ওরা আমাকে সাইকেল থেকে নামিয়ে পেটাতে থাকে।’

এ ঘটনায় আহত রাজিবুলকে ভর্তি করানো হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে।

খবর ছড়িয়ে পড়তেই বেলপুকুর এলাকায় রাস্তায় বসে পড়েন আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কের দু’ধারে থমকে যায় যান চলাচল। এই সময়ে অবরোধের মুখে এসে দাঁড়ায় আরও দু’টি মোটরবাইকে জনা চারেক যুবক, তাদেরও গন্তব্য তারকেশ্বর। জনতা এ বার তাদের ধরে পেটাতে থাকে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলার পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই দুই যুবকও মারধরে অভিযুক্তদের সঙ্গী, মোটরবাইক খারাপ হয়ে গিয়েছিল বলেই পিছিয়ে পড়েছিল তারা।

আহত মাদ্রাসা ছাত্রটির আত্মীয় আক্তারুল আলম বলছেন, পাঁচটি মোটরবাইকে করে অন্তত দশজন তারকেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল। প্রথম দু’টি বাইকে যারা ছিল তারা রাজিবুলকে মারধর করে পালায়। বাকিরা পিছিয়ে পড়েছিল। একটু পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই জনতা তাদের ধরে ফেলে।’

মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের খোঁজ চলেছে। ওই এলাকায় বসানো হয়েছে বাড়তি নজরদারি।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত