ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

১৩২ গ্রামে তিন মাসে কোনো কন্যাশিশু জন্মায়নি

১৩২ গ্রামে তিন মাসে কোনো কন্যাশিশু জন্মায়নি

ভারতের উত্তরখণ্ড রাজ্যের ১৩২ গ্রামে গত তিন মাসে মোট ২১৬টি শিশু জন্ম নিয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এদের মধ্যে একজনও কন্যাশিশু নেই। এ ঘটনায় বিপাকে পড়েছে জেলা প্রশাসন। কেননা এই ঘটনা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত তিন মাসে ওই রাজ্যের উত্তরকাশী জেলার ১৩২টি গ্রামে মোট ২১৬টি শিশু জন্মেছে যাদের সবাই ছেলে। মেয়ে ভ্রূণ হত্যার কারণেই যে এমনটি ঘটেছে তা স্পষ্ট।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক ড. আশিক চৌহান বলেন, ‘যেসব এলাকায় কন্যা সন্তান একেবারেই জন্ম নেয়নি কিংবা এক ডিজিটে রয়েছে, আমরা সেসব স্থানকে চিহ্নিত করেছি। মেয়ে সন্তান জন্ম না হওয়ার কারণ জানতে আমরা ওইসব এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছি।’

এ ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে এলাকায় বিস্তারিত জরিপ ও গবেষণা চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও তিনি এ বিষয়ে 'আশা' নামক এনজিওর কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাদেরকে তিনি উক্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে বলেছেন। এরপর রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই বৈঠকে গঙ্গোত্রীর বিধায়ক গোপাল রাওয়াতও উপস্থিত ছিলেন।

এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে সমাজকর্মী কল্পনা ঠাকুর অভিযোগ করে বলেছেন, কন্যা সন্তানের জন্ম না হওয়ার অন্যতম কারণ কন্যা ভ্রুণ হত্যা।

তিনি বলেন, ‘গত তিন মাসে ওইসব গ্রামে কোনো কন্যাশিশু জন্ম নেয়নি। এটি কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটা স্পষ্ট যে, ওই জেলার গ্রামগুলোতে নির্বিচারে কন্যাশিশুদের ভ্রূণ হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যে কিছুই করছে না তা স্পষ্ট।’

সিনিয়র সাংবাদিক শিব সিং থানভাল ভ্রুণ হত্যা রোধে সরকারকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। । তিনি মোদি সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ স্কিমের কার্যকারীতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

তিনি বলেন, এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে এখনও দেশে নির্বিচারে মেয়েভ্রূণ হত্যা চলছে। এই ভ্রূণ হত্যা রোধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক শিব সিং।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত