ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

এবার ইসলামি সংস্কৃতি ধবংসের ষড়যন্ত্রে চীন

এবার ইসলামি সংস্কৃতি ধবংসের ষড়যন্ত্রে চীন

চীনের মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর নতুন নির্যাতন শুরু করেছে দেশটির সরকার। সেখানকার কমুনিস্ট সরকার এবার ইসলামিক সংস্কৃতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে রাজধানী বেইজিংয়ের সমস্ত রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকানের সাইনবোর্ড থেকে আরবি শব্দ ও ইসলামিক প্রতীক অর্ধচন্দ্র সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। দেশে বাড়তে থাকা মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বহু আগে থেকেই আরো অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে চীন।

দেশজুড়ে বসবাসকারী মুসলিমদের জন্য বারবার বিভিন্ন ধরনের নির্দেশিকা জারি করতে দেখা গিয়েছে বেইজিং সরকারকে। উইঘুর মুসলিমদের নমাজ পড়তেও বাধা দেওয়া হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে চীনা সংস্কৃতির মূলধারায় নিয়ে আসার জন্যই এইসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বেজিংয়ের ১১টি রেস্তরাঁ ও খাবার দোকানের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তাদের সাইনবোর্ড থেকে ইসলামের প্রতীক অর্ধচন্দ্র চিহ্ন এবং আরবিতে লেখা ‘হালাল’শব্দটি সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে বেজিংয়ের একটি নুডুলসের দোকানের ম্যানেজার বলেন, ‘আমাদের দোকানের সাইনবোর্ডে লেখা হালাল শব্দটি ঢাকা দিতে বলা হয়। পরে আমি সেটা করেছি কিনা সেটাও লক্ষ্য করা হয়। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এটা বিদেশি সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির বদলে চীনা সংস্কৃতির ব্যবহার ও প্রচার করতে হবে।’

কেবল ওই দোকানের ম্যানেজার নন, একই কথা শোনা গিয়েছে অন্য দোকানকার বা রেস্তরাঁর মালিকদের মুখ থেকেও। তবে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি কেউ।

২০১৬ সাল থেকে আরবি ভাষা ও ইসলামিক প্রতীক বিরোধী প্রচারণা জোরদার করেছে চীন। বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে মূল ধারার চীনা সংস্কৃতির আওতায় নিয়ে আসাই তাদের মূল লক্ষ্য। এজন্য সেদেশে থাকা মসজিদগুলির আকৃতি মধ্যপ্রাচ্যের গম্বুজের বদলে চীনের প্যাগোডার আকারে তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে।

চীনে বর্তমানে দু’কোটিরও বেশি মুসলিম বাস করেন। প্রকাশ্যে সেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হলেও বাস্তবটা পুরো আলাদা বলেই ভুক্তভোগীদের দাবি। চীন সরকার ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসীদের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শের ধারায় নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে কেবল মুসলিম ধর্মাবলম্বীই নয়, চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে খ্রিস্টানদের উপরও। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্ডার গ্রাউন্ড গির্জা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি বেআইনি বলে কালো তালিকাভুক্তও করা হয়েছে বেশ কিছু গির্জাকে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত