প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৯, ১০:০১
‘কেবল কাশ্মীর নয়, মোদির লক্ষ্য পাকিস্তান দখল করা’

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিনটি‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’হিসাবেই পালন করেছে সেখানকার লোকজন। আর এইদিনে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এছাড়া সে দেশের বিরোধী দলের নেতারাও স্বাধীনতা দিবসে ‘নির্যাতিত কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানোর’ডাক দিয়েছেন।
|আরো খবর
বুধবার আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদে আইনসভায় বিশেষ অধিবেশনের ব্যবস্থা করেন ইমরান খান। ওই অধিবেশনে তিনি দাবি করেন, ভারত সামরিক অভিযান চালিয়ে আজাদ কাশ্মীর দখল করার পরিকল্পনা করছে। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল কাশ্মীরই নয়, তাদের লক্ষ্য পাকিস্তান দখল করা।’
এরপরই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার বার্তা—তোমরা আরো অগ্রসর হলে ভুল করবে। কারণ তোমাদের প্রতিটা ইটের জবাবে আমরা পাথর ছুড়বো এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজ়ওয়ার বলেন,‘১৯৪৭-এর একটি কাগজের টুকরোয় (রাজা হরি সিংহের সঙ্গে দিল্লির চুক্তি) কাশ্মীরের বাস্তবতা বদলে যায়নি, এখনকার পদক্ষেপেও বদলাবে না, ভবিষ্যতেও নয়। কাশ্মীর নিয়ে সমঝোতার জায়গা নেই।’
আজাদ কাশ্মীরের আইনসভার বিশেষ অধিবেশন ইমরান খান জাতিসংঘকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য এখনই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক!’
এসময় ইমরান খান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম ধরে বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়াটা মোদির কৌশলগত কেলেঙ্কারি। শেষ তাসটি আগেই খেলে ফেলেছেন মোদি। কিন্তু এজন্য মোদিকে চরম মূল্য দিতে হবে। কাশ্মীর সমস্যাকে এতদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করে এসেছে দিল্লি। কিন্তু মোদীর এই পদক্ষেপে গোটা দুনিয়ার নজরে চলে এল কাশ্মীরিদের সমস্যা। কাশ্মীরি ভাই-বোনেদের আশ্বস্ত করছি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের দূত হয়ে কাজ করে যাব আমি।’
এম্/