কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে ট্রাম্পকে যা বললেন ইমরান
কাশ্মীরের চলমান সংকট নিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) বৈঠকে বসার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এ সম্পর্কে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির জানান, কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন কেড়ে নিতে ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের পর উদ্ভূত পরিস্থিতির নিয়ে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ মিনিট ফোনালাপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ইমরান খান আশ্বস্ত করতে সক্ষম হয়েছেন বলেও দাবি পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক ভিডিও বক্তব্যে মাহমুদ কোরেশি বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাশ্মীরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কথা বলেছেন। ভারতের এমন একতরফা সিদ্ধান্তের ফলে এই অঞ্চলে যেসব অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিস্তারিত তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশেই দুই নেতা আলাপ করেন বলেও তিনি জানান।
কাশ্মীর ইস্যুর পাশাপাশি আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্প কথা বলেছেন বলে জানান পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পাকিস্তান সর্বাত্মক চেষ্টা করবে বলেও ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেন ইমরান খান।
এদিকে পাকিস্তান ও চীনের আহ্বানে শুক্রবার রাতে কাশ্মীরের চলমান সংকট নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি)। তবে এ বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধিকে থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কোনো খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হবে না। দীর্ঘ ৫০ বছর পর নিরাপত্তা পরিষদে এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
এ বৈঠকে স্বভাবতই খুশি পাকিস্তান। অন্যদিকে এ ধরনের বৈঠক ডাকায় এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটির ওপর দারুণ বিরক্ত ভারত। কেননা, তারা সবসময় কাশ্মীর সঙ্কটকে নিজেদের আভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করে থাকে। এ নিয়ে তৃতীয় পক্ষের কোনো রকম দেন দরবার তাদের না-পছন্দ।
এর আগে, জুলাই মাসে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, কাশ্মীর বিরোধ সমাধানে মধ্যস্ততা করতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে অনুরোধ করেছেন। তবে ভারত সরকার ট্রাম্পের এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
আর ট্রাম্পের এই দাবির পরপরই তড়িঘড়ি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ৩৭০ ধারাটি বাতিল করে ভারত। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি অঞ্চল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়েছে। এরপর থেকে কাশ্মীরের মোবাইল লাইন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে রেখেছে মোদি সরকার।
সূত্র: দুনিয়া নিউজ
এমএ/