ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাশ্মীরে অস্থিরতা বাড়ছে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০১৯, ০১:০২  
আপডেট :
 ২০ আগস্ট ২০১৯, ০১:১৯

কাশ্মীরে অস্থিরতা বাড়ছে

জম্মু ও কাশ্মীরে বড় ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ ঠেকাতে সেখানে নজিরবিহীন বিধিনিষেধ জারি করেছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষগুলো। বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ার পর শ্রীনগরের প্রায় ১৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলেই শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার অত্যন্ত কম ছিল। এর ফলে অস্থিরতা বাড়ছেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিকে সীমান্তে ফের গোলাগুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় বাহিনীর চালানো হামলায় ২ পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

পাল্টা হামলায় ২ ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় বাহিনীর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

পাকিস্তান আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তরের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, রোববার ভারতীয় বাহিনী বিনা উসকানিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় মর্টার ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করে। এতে হাসান দীন (৬১) ও লাল মোহাম্মদ (৭৫) নামে দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে বলে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তর জানিয়েছে।

জানা যায়, পাকিস্তানি সেনাদের পাল্টাগুলিতে ২ ভারতীয় সেনা নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। হামলায় ভারতের কয়েকটি চেকপোস্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার নিয়ন্ত্রণরেখায় দু’দেশের সৈন্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।

অন্যদিকে কাশ্মীরের স্কুলের বাচ্চাদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক চালু হলে সন্তানদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারবেন তারা, তখন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন, তার আগ পর্যন্ত তাদের সন্তানরা বাসায়ই থাকবে। শহরের বাতামাল্লো এলাকার একটি স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর বাবা গুলজার আহমেদ বলেন, কীভাবে আমরা সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি নেব? এর আগে বাতামাল্লো এলাকায় কয়েকবার ভারতবিরোধী প্রতিবাদ হয়।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহগুলোতে সৈন্যরা ছোট ছোট শিশুদেরও গ্রেপ্তার করেছে এবং কয়েকটি শিশু আহতও হয়েছে। বাড়ির ভেতরে শিশুরা নিরাপদ আছে। তারা স্কুলে গেলে কে তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে?

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষগুলোর কাউকে পাওয়া যায়নি, তবে এর আগে যথেচ্ছ গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করেছিল তারা।

৫ আগস্ট এক ঘোষণায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে পুরোপুরি ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য অংশের নাগরিকদের জন্য অঞ্চলটির জমি কেনার ও সরকারি চাকরির প্রার্থী হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়।

সমালোচকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বহু কাশ্মীরিকে আরও দূরে ঠেলে দেবে এবং সেখানে ৩০ বছর ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহ আরও জোরদার হবে। রোববার শ্রীনগরের বাসিন্দারা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছুড়েছে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এতে বহু লোক আহত হয়েছেন বলে দুই জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত