ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী

পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী

ভারতীয় বিমান বাহিনী পরিসরে বড় হওয়া সত্ত্বরেও নানা ক্ষেত্রে পাকিস্তানের তুলনায় পিছিয়ে আছে। আর এটি গত কয়েক মাস আগে বালাকোট হামলার সময়ই সামনে এসেছে। তখন পাকিস্তান সীমান্তে হামলা চালাতে গিয়ে পাক হামলায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে আটক হয়েছিলেন এক ভারতীয় পাইলট। এ বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রণকৌশলীরা বেশ চিন্তিত।

তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর যে সব বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছে সেগুলো হলো- পাইলট এবং বিমানের আনুপাতিক হার, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন বা টার্গেট প্র্যাকটিস এবং স্কোয়াড্রনের শক্তি। ভারতীয় বিমান বাহিনী বা আইএএফে বর্তমানের বিমান প্রতি ১.৫জ পাইলট রয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান বিমান বাহিনী বা পিএএফের রয়েছে ২.৫।

এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে সর্বাত্মক যুদ্ধ বাঁধলে আইএএফের তুলনায় পিএএফ কার্যকর ভাবে দিনরাত অভিযান চালাতে সক্ষম হবে। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে চেয়ে বলা হয়েছে, একটি যুদ্ধ বিমান দিনে ছয় দফা অভিযান চালাতে সক্ষম হলেও বিমান চালক মানবিক সীমাবদ্ধতার বাঁধা কাটিয়ে উঠতে পারেন না।

অন্যদিকে বোমা বর্ষণে দক্ষ হওয়ার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনী বা আইএএফকে কম্পিউটারভিত্তিক অনুশীলনের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এয়ার কমান্ডকে গোটা পাকিস্তান এবং চীনের অংশ বিশেষের ওপর নজরদারি চালাতে হয়। বড় এবং শক্তিশালী বোমা বর্ষণ অনুশীলনের জন্য এ কমান্ডের আওতায় একটাও চাঁদমারি বা ফায়ারিং রেঞ্জ নেই।

পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত ভূখণ্ড বা হাই অলটিচ্যুঠে বোমা বর্ষণ অনুশীলনের উপযোগী কোনও চাঁদমারি নেই আইএএফের। অথচ ভারতের উত্তর এবং পূর্বে চীনের অনেকে ঘাঁটিই এ রকম উচ্চতায় অবস্থিত। বরাদ্দ অনুযায়ী ভারতের যুদ্ধ উপযোগী ৪২টি স্কোয়াড্রন এবং সাড়ে ১২ হাজার কর্মকর্তা রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি স্কোয়াড্রনে ১৬ থেকে ২০টি যুদ্ধ বিমান থাকার কথা।

এ বরাদ্দ ১৯৭০এর দশকে দেয়া হয়েছে। প্রতিবছর গড়ে বরাদ্দকৃত কর্মকর্তার ঘাটতি ২ শতাংশ করে বাড়ছে। অন্যদিকে বরাদ্দ অনুযায়ী ৪২টি স্কোয়াড্রন থাকার কথা থাকলেও ভারতে বর্তমানে রয়েছে মাত্র ৩০টি স্কোয়াড্রন। এতে পাইলট এবং বিমানের আনুপাতিক হার দাঁড়িয়েছে ১.৫। অবশ্য স্কোয়াড্রন বাড়লে এ হার কমে আসবে। আইএএফ এ হারকে ২.২তে নিয়ে যেতে চাইছে।

গত বছর ‘গগণ শক্তি’ নামে বিশাল যুদ্ধ-মহড়া চালিয়েছিল আইএএফ। গোটা ভারতব্যাপী চালানো হয়েছিল এ মহড়া। দু’টি রণাঙ্গন এবং দিনরাত অভিযানকে সামনে রেখে চালানো হয় ‘গগন শক্তি।’ ৪৮ বছরের নিচে এবং স্বাস্থ্যগত ভাবে সক্ষম সব আইএএফ কর্মকর্তাকে এ মহড়ার আওতায় আনা হয়েছিল।

সাধারণ ভাবে উইং কমান্ডারের ওপরের পদ মর্যাদার পাইলটরা বিমান চালান না। তাদেরকে প্রাত্যহিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকতে হয় বলে বিমান চালানো ফুরসত করে উঠতে পারেন না। কিন্তু ‘গগণ শক্তি’র সময় এ সব কর্মকর্তাকে তালিকাভুক্তি করা হয়েছিল। তাতেও পাইলট এবং বিমানের আনুপাতিক হার ২’এর উপর ওঠেনি।

তাই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দুই দেশের যুদ্ধ বাধলে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় বিমান বাহিনীর তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে পাকিস্তান, তা নিয়ে চিন্তিত নয়াদিল্লি।

সূত্র: পার্স টুডে

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত