ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোপনে স্বামীর কিডনি বিক্রি করে দিলেন স্ত্রী ও তার মা!

গোপনে স্বামীর কিডনি বিক্রি করে দিলেন স্ত্রী ও তার মা!

প্রতারণার মাধ্যমে স্বামীর কিডনি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে উঠেছে স্ত্রী ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিনের সংসারে ভেঙে দুই মেয়েকে রেখে চলেও গেছে অভিযুক্ত গৃহিনী।

ঘটনা ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনার। আলিপুর আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা উত্তম মাইতি একটি বেসরকারি সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা। থাকেন পাটুলিতে।

ভুক্তভোগী উত্তমবাবু জানান, ২০১১ সালে বাগুইআটির বাসিন্দা জুঁই সাহা নামে এক নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্রে প্রেম। তারপরে বিয়ে। ২০১৪ সালে যমজ মেয়েও হয় তাদের। ২০১৬ সালে জুঁইয়ের মা গীতা অসুস্থ হয়ে ই এম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

উত্তমবাবু বলেন, শাশুড়ির আর আমার ব্লাড গ্রুপ এক। তাই মাকে বাঁচাতে জুঁই আমার কিডনি চেয়ে চাপ দিতে থাকে। স্ত্রীর চাপে শাশুড়িকে একটি কিডনি দানও করেন উত্তমবাবু।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের নভেম্বরে আমার কিডনি নেয়া হয়। ওই সময়ে শাশুড়িও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিডনি দান করার কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই সাংসারিক নানা বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া করে মাঝেমধ্যে বাপের বাড়িতে চলে যেত জুঁই। ২০১৮ সালের আগস্টে দুই মেয়েকে রেখে পাকাপাকিভাবে সেখানে চলে যায়।

উত্তমবাবুর দাবি, মাস দু’য়েক আগে জুঁইয়ের আলমারি থেকে একটি ফাইল খুঁজে পান তিনি। তাতে তার ছবির নীচে লেখা রয়েছে সাবির আহমেদ। সেই সাবির এক নারীকে কিডনি দান করেছেন বলে নানা নথি রয়েছে।

বিচারকের কাছে উত্তমবাবুর অভিযোগ, তিনি সব নথি খতিয়ে দেখে জেনেছেন, তার শাশুড়ির কিডনি আদৌ নষ্ট হয়নি। মা ও মেয়ে মিলে ভুয়া নামে তার কিডনি সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই কিডনির গ্রহীতার খোঁজও পেয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুঁইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোনোভাবেই জোর করে কিডনি বিক্রি করা হয়নি। উত্তম নিজের ইচ্ছায় ওই কিডনি বিক্রি করেছে। আমার মা এ বিষয়ে সব কিছু জানেন। আমি ওই কিডনি বিক্রি করিনি। সংসারে আর্থিক অনটনের জন্যই আমি বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত