ইরাকের অস্ত্রাগারে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল
সম্প্রতি ইরাকের সন্ত্রাস-বিরোধী বাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে যে একাধিক হামলা হয়েছে সেগুলো চালিয়েছে ইসরায়েল। এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দুইজন উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছেন, ইরাকে দু’টি অস্ত্রের গুদামে এ হামলা চালানো হয়েছে। তারা আরো জানিয়েছে, ইরাকের এসব অস্ত্রাগার থেকে সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করা হয় বলে অভিযোগ তুলে তেল আবিব ওইসব হামলা চালিয়েছে।
ইরাকের সরকার-পন্থি ‘হাশদ আশ-শাবি’ বাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে গত মাসে অজ্ঞাত উৎস থেকে ধারাবাহিক হামলা হওয়ার পর নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর দিল। ইরাকে এক সময় ব্যাপকভাবে তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ২০১৪ সালে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হাশদ আশ-শাবি বাহিনী গঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ইরাক থেকে আইএস উৎখাতে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গত ১৯ জুলাই ইরাকের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আমেরলি শহরে হাশদ আশ-শাবির একটি ঘাঁটিতে প্রথম ড্রোন হামলার খবর প্রচারিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক একজন অজ্ঞাত গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, ১৯ জুলাই ইরাকের অস্ত্র গুদামে ইসরায়েল ওই হামলা চালিয়েছিল
গত সপ্তাহে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরে একটি কৌশলগত বিমান ঘাঁটির কাছে হাশদ আশ-শাবি বাহিনীর অবস্থানে আরেকটি হামলা হয়। ওই বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মোহান্দেস ওই হামলার জন্য সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেছেন, এরপর থেকে তার বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর আশপাশের আকাশে অজ্ঞাত যেকোনো বিমান বা ড্রোন দেখা গেলে সেগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হবে। এরপর বৃহস্পতিবার হাশদ আশ-শাবি জানায়, তারা রাজধানী বাগদাদের আকাশে একটি অজ্ঞাত গোয়েন্দা ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।
ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, হাশদ আশ-শাবি বাহিনীর ছদ্মাবরণে ইরাকে ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পরিচালনা করছে ইরান। তবে তাদের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বাগদাদ সরকার।
সূত্র: পার্স টুডে
এমএ/
