ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে গুরুত্ব পাবে কাশ্মীর ইস্যু

মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে গুরুত্ব পাবে কাশ্মীর ইস্যু
ফাইল ফটো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ দেখিয়ে বিপদে ফেলেছিলেন নয়াদিল্লিকে। তার এই আগ্রহ প্রকাশের দিন কয়েক পরেই ওই রাজ্যে দীর্ঘ ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে বিরাজমান বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করেছে মোদি সরকার। এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে গোটা উপত্যকায়। এ অবস্থায় আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্বাভাবিকভাবেই তিনি এদিন মোদির কাছে কাশ্মীরের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।

মার্কিন প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম।

ট্রাম্প আগেই বলেছেন, ফ্রান্সে আসন্ন জি-৭ সম্মেলনে মোদির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে কথা বলবেন তিনি। ওই কর্মকর্তা জানান, কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পাশাপাশি সেখানকার শত শত নেতাকে আটক করাসহ মানবাধিকার পরিস্থিতির যে চরম অবনতি হয়েছে মোদির কাছে তা নিয়েও প্রশ্ন করবেন ট্রাম্প। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে চিন্তিত নয়াদিল্লি।

গত দু’সপ্তাহে তিন বার কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব-দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদির বৈঠকের ফলাফল কি হতে পারে তা নিয়েও উৎকণ্ঠায় আছেন ভারতের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বৈঠককে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।

সাউথ ব্লক মনে করছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজেদের স্বার্থেই এখন দুই দেশকেই কাছে রাখতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ফলে কাশ্মীরের ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পাল্টেছে। কাশ্মীর ইস্যুটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে ইমরান সরকার। তারা এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে সচেতন করা এবং বিশ্ব নেতাদের সমর্থন আদায়ের জোর চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে।

একই সঙ্গে ইসলামাবাদ জানিয়েই দিয়েছে, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়টি প্রভাবিত করবে। কিন্তু ট্রাম্প অক্টোবরেই আফগানিস্তান থেকে সেনা তুলতে চান। সে ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের পূর্ণ সহযোগিতা তার প্রয়োজন। তাই যে ভাবেই হোক, কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে সংযত রাখতে চাইছেন তিনি।

ভারত মনে করছে, মোদির সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে খুশি করার চেষ্টা করবেন ট্রাম্প। আবার ভারতের বিশাল বাজারকে কখনওই অবজ্ঞা করতে পারে না আমেরিকা। আর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য কিছুটা হলেও খর্ব করতে ভারতের পাশে থাকতে হবে ট্রাম্পকে। ফলে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় সবমিলিয়ে ‘ধরি মাছ না ছুই পানি’ নীতিতেই এগোচ্ছেন ট্রাম্প।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত