ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্যে হেরোইন!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৫৮  
আপডেট :
 ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১৭:০০

জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্যে হেরোইন!

বিশ্ববিখ্যাত স্বাস্থ্যপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৪৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের জরিমানা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। হেরোইন দিয়ে তৈরি ওপিওয়েডযুক্ত পণ্য বিক্রির দায়ে এমন রায় দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, যে ধরনের পণ্যে কিছু মাত্রায় হেরোইন থাকে, তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ওপিওয়েড। নিয়ম অনুযায়ী এমন পণ্য বিক্রির আগে চিকিৎসক বা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ক্রেতাকে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে সচেতন করে দেওয়া। এই কাজেই ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্বাস্থ্যপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন। শুধু সচেতনতায় ব্যর্থতাই নয়, অভিযোগ উঠেছে জনসনের চাপে চিকিৎসকরাও এমন পণ্য ব্যবহারে বেশি উৎসাহিত করেছে ভোক্তাদের।

এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা রাজ্যে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ওপিওয়েডযুক্ত পণ্য। বেড়েছে আসক্তি। এতে জনসনের ভূমিকার জন্য তাকে ৫৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকার সমান) জরিমানা করেছে রাজ্যটির একটি আদালত৷

জনসনের এই ঘটনা ছাড়াও এমন দুই হাজার মামলা আদালতে উঠেছে যেখানে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ওপিওয়েড আসক্তি বাড়াচ্ছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের পণ্যের কথা রয়েছে৷

ওকলাহোমার এটর্নি জেনারেল মার্ক হান্টার জানান, ২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মোট ৪ হাজার ৬৫৩ জন এই আসক্তির কারণে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন।

তার ভাষায় জনসনের অপরাধ ‘দেশের সবচেয়ে খারাপ মানবসৃষ্ট স্বাস্থ্য সংকট’।

আদালতে আনা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এক ধরনের ‘ব্রেনওয়াশিং’ বা মগজ ধোলাই ক্যাম্পেনের ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বিক্রি হয়েছে জনসনের পণ্য। সেই তুলনায় ভোক্তাদের জানানো হয়নি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সর্ম্পকে।

ওকলাহোমার এই রায় ব্যতিক্রমী। এর আগে, বড় মাপের কোনো প্রতিষ্ঠানকে ওপিওয়েড আসক্তি ছড়ানোর দায়ে এমন অঙ্কের জরিমানা করা হয়নি। সরকারপক্ষের আইনজীবী জানান, বহু বছর ধরে জনসন অ্যান্ড জনসন পণ্যগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা সত্ত্বেও তা বিক্রি করছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত