ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভারতে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনারা

ভারতে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনারা
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ৬০-৭০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনারা। শুধু তাই নয়, তারা নাকি সেখানে একটি ঝুলন্ত ব্রিজও তৈরি করে ফেলেছে। অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি বিধায়কের এ দাবিকে ঘিরে ভারত-চীন সীমান্তের চাগলাগাম এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে।

তবে বিজেপি বিধায়কের এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনা বা নাগরিকের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু তারপরও ওই এলাকায় টহলদারি জোরদার করা হয়েছে।

রাজ্যের বিজেপি সভাপতি অরুণাচল পূর্ব কেন্দ্রের সংসদ সদস্য টাপির গাও সম্প্রতি বিভিন্ন সাংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, চাগলাগামের ডিমারু নালার ওপর একটি ‘সন্দেহজনক ব্রিজ’ চোখে পড়েছে আদিবাসীদের। ঘন জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকায় গাছ কেটে কাঠ দিয়ে ওই ব্রিজটি তৈরি করেছে চীনা সেনাবাহিনী।

দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন টাপির গাও।

বিজেপি বিধায়ক টাপির গাও যেখানে ব্রিজ তৈরির কথা বলেছেন, সেই ডিমারু নালা অনজয় জেলার অন্তর্ভুক্ত। এটি চীন সীমান্ত থেকে মাত্র ২০০ কিমি দূরে অবস্থিত। এই এলাকার লোকসংখ্যাও অনেক কম। সেখানে প্রচুর পাহাড়ি ঝর্ণা ও নালা রয়েছে। সেখানকার জঙ্গলে রয়েছে অসংখ্য ‘ফিশ টেল’ প্রজাতির লম্বা লম্বা গাছ। আর ঘন জঙ্গলে ঘেরা বলে অত্যন্ত দুর্গম ভারতের ওই এলাকাটি।

শিকার এবং ভেষজ উদ্ভিদ সংগ্রহ করতে জনজাতি শ্রেণির কিছু মানুষের আনাগোনা রয়েছে। তবে সেনা জওয়ানরাও রুটিন টহলদারি চালায় এসব এলাকায়।

চীন-অরুণাচল সীমান্ত ম্যাকমোহন লাইন নামে পরিচিত। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা ম্যাকমোহন লাইন থেকে চাগলাগামের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। চাগলাগাম থেকে আবার ডোইমুর নালার দূরত্ব ২৫-৩০ কিলোমিটার। ফলে টাপির গাওয়ের দাবি সত্যি হলে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৬০-৭০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে চীনা বাহিনী।

টাপির গাওয়ের দাবি প্রকাশ পেতেই দিল্লিতে ঝড় উঠে। ভারতীয় সেনাসহ মোদি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ।

পরে বুধবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, টাপির গাওয়ের দাবি সঠিক নয়। ভারতের ভূখণ্ডে এ ধরনের কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। ডিমারু নালার ওপরে বর্ণিত ওই স্থানে এই ধরনের কোনো ব্রিজ-ও চোখে পড়েনি সেনাবাহিনীর।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত