ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘বুশকে আফগান যুদ্ধে ঠেলে দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু’

‘বুশকে আফগান যুদ্ধে ঠেলে দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু’

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে আফগানিস্তানে হামলা চালাতে উস্কানি দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে ইরাক আগ্রাসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এই ইসরায়েলি নেতা। মঙ্গলবার এ দাবি করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ মঙ্গলবার রাতে নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘আপনি জানেন কি, এই নেতানিয়াহু-ই যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানের চোরবালির দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন? যে চোরাবালি থেকে এখনও আপনি বের হতে পারছেন না?’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার টুইট বার্তায় ২০০১ সালে আফগানিস্তানে ইঙ্গো-মার্কিন আগ্রাসনের আগে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে নেতানিয়াহুর এ সংক্রান্ত বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ তুলে ধরেন। ওই ভিডিওতে কথিত সন্ত্রাসী রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে উস্কানি দিচ্ছেন ওই ইসরায়েলি নেতা। তখন নেতানিয়াহু সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘ইরাক থেকে সাদ্দাম সরকারকে উৎখাত করলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।’

নেতানিয়াহুর পরামর্শে ওই বছরই (২০০১ সালে) আফগানিস্তানে হামলা চালায় মার্কিন সেনারা। এর দুই বছর পর অর্থাৎ ২০০৩ সালে ইরাক দখল করে নেয় মার্কিন সেনারা।

মার্কিন সরকার আফগানিস্তান থেকে জঙ্গি গোষ্ঠীআল কায়দা ও তাদের দোসর তালেবানদের বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়ে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলায় চালয় এবং দেশটি দখল করে নেয়। এরপর মার্কিন বাহিনী গত ১৮ বছর ধরে সেখানে অবস্থান করলেও তাদের পক্ষে এখন পর্যন্ত তালেবানদের নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। উল্টো সেই তালেবানের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে সম্মানজনক বিদায়ের পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সম্প্রতি দু পক্ষের মধ্যে নয় দফা বৈঠকের পর তালেবানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি চুক্তি হওয়ার কথা চূড়ান্ত হয়েছিলে। কিন্তু তালেবান হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার জের ধরে ওই চুক্তি বতিল করে দেন ট্রাম্প। এসময় ‘তালেবানদের সঙ্গে কোনো সন্ধি নয়’ বলেও বিবৃতি দেন বিক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

অন্যদিকে ইরাকে সাদ্দাম সরকারের উৎখাতের পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বহুগুণে বেড়ে গেছে এবং জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান ঘটেছে। ইরাক ও সিরিয়া হয়ে তারা এখন আফগানিস্তানেও ঘাঁটি গেড়েছে। এই শক্তিটিকে পরাজিত করতে হিমসিম খাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত