ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত উত্তেজনা কমেছে: ট্রাম্প

কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত উত্তেজনা কমেছে: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন কাশ্মীর ইস্যুতে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা হ্রাস পেয়েছে।

সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। তবে আমি মনে করি এ নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা ছিলো তা কমে এসেছে ।’

এসময় তিনি আবারও কাশ্মীর ইস্যুতে আবারও মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চাইলে আমরা এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভারত-পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার দুই দেশের সঙ্গেই খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যদি দুই দেশ-ই চায় তবে আমি তাদের এ বিষয়ে সহায়তা করতে রাজি আছি। তারাও এটা জানে। তাই এই প্রস্তাব দিয়েছি।’

এর আগে গত জুলাই মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওয়াশিংটন সফরের সময় এক বৈঠকে প্রথমবারের মতো কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। এরপর আরো দু’বার তিনি একই আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তার এই মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে পাকিস্তান স্বাগত জানালেও এতে নাখোশ হয় ভারত।

পরে গত ২৬ অগাস্ট ফ্রান্সে জি সেভেন সম্মেলন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকের দু সপ্তাহ পর এ কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই বৈঠকে তারা জম্মু ও কাশ্মীর নিয়েও আলোচনা করেন।

এছাড়া কাশ্মীর ইস্যুতে তিনি বেশ কয়েকবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং ভাতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। আর প্রতিবারই তিনি দু দেশের নেতাদের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিধান বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় মোদি সরকার। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠেছে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক। সীমান্তে দু দেশের সেনাদের মধ্যে বেশ কয়েক দফা গুলি বিনিময়ে দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনা ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার জাতিসংঘ মানবাদিকার কাউন্সিলে কড়া বক্তব্য দিয়েছেন পাকিস্তান। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন উল্টো কথা।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত