ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

গভীর রাতে হানা দেয় মৃত কিশোরীর আত্মা!

গভীর রাতে হানা দেয় মৃত কিশোরীর আত্মা!

রাত বাড়লেই হানা দেয় মৃত কিশোরীর আত্মা! এমন আতঙ্ক বিরাজ করছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়ায়।

স্থানীয়দের দাবি, ১৩ বছরের কিশোরী সোনির মৃত্যুর পর থেকেই নাকি এই ভূতুড়ে ব্যাপার শুরু হয়েছে গ্রামে। ভূত দেখার দাবি যারা করেছেন, তাদের কথামতো ভূতের থুড়ি বাচ্চা ভূতের সঙ্গে নাকি সোনির চেহারার বিস্তর মিল।

সোনির পরিবারেরও দাবি, তাদের বাড়ির মেয়ে মৃত্যুর পরে আবার ফিরে এসেছে গ্রামে।

মৃত কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে রোববার রাতে সাপে কাটে সোনিকে। হাসপাতালের বদলে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়াই ঠিক বলে মনে করেছিলেন সোনির বাবা-মা। ঘণ্টা তিনেক ওঝার ঝাঁড়ফুকে কিশোরীর শরীরের আরও অবনতি হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহুরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে।

চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বিষ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেহে। মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ সৎকারের বদলে সেটি বস্তাবন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার আমলেকাতে। কিশোরীর পরিবারের বিশ্বাস ছিল সেখানকার এক পীঠস্থানে পুজো দিলে নাকি মৃত মেয়ে আবার বেঁচে উঠবে। শেষে দেহে পচন ধরতে শুরু করায়, ফের গ্রামে ফিরে আসে সোনির পরিবার। দেহ সমাধি দেয়া হয়।

গ্রামবাসীদের ধারণা এর পর থেকেই নাকি কিশোরীর আত্মা গ্রামে ঘুরেফিরে বেড়ায়।

এক গ্রামবাসীর দাবি, আমার বাড়ির ছেলেমেয়ের সঙ্গে খেলতে আসত ওই মেয়েটির আত্মা। সবাইকে মেরে ফেলবে।

পুলিশ জানিয়েছে, অন্ধবিশ্বাস এতটাই চেপে বসেছে গ্রামবাসীদের মধ্যে যে, তাদের বোঝানো দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার কল্যাণী নেহুরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তার, পুলিশ ও বিজ্ঞান মঞ্চের লোকজন গ্রামবাসীদের বোঝাতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

গ্রামে শিবির খুলে সচেতনতার পাঠও দেওয়া হয়। তাতেও নাকি কাজ হয়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের ভয় তাড়াতে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শহর থেকে মনোবিদদের এনে ফের সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত