ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলে ধ্বংস হবে সৌদি’

‘ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলে ধ্বংস হবে সৌদি’

সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার ধুয়া তুলে ইরানের যুদ্ধ শুরু করার পাঁয়তারা করছে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর এই যুদ্ধের মদদ দিচ্ছে তাদের পশ্চিমা মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ অবস্থায় সৌদি আরবের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরানপন্থী শিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ সৌদি আরব ও আমিরাতদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বলেছেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। হুথিদের একটি হামলায় সৌদি তেল স্থাপনার যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে তা থেকে একথা অনুমান করা যায় যে, ইরান হামলা শুরু করলে পরিস্থিতি কতো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’

তিনি শুক্রবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ মন্তব্য করেন।

হিজবুল্লাহ নেতা যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যারা ইয়েমেনের নিরপরাধ মানুষ হত্যার ব্যাপরে নীরব থাকে তেল স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে তাদের সরব হয়ে ওঠায় বোঝা যায়, তাদের কাছে রক্তের চেয়ে তেলের মূল্য অনেক বেশি। তারা ইয়েমেনের নারী ও শিশু হত্যার সময় কেন নীরব থাকে তা বিশ্ববাসী জানতে চায়।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর রিয়াদের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে এর প্রতিশোধ নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হাজির করা হয়।

তবে শুরু থেকেই সৌদি তেল শোধনাগারে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইরান সরকার। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলা দায় স্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, তারা সৌদি তেল শোধনাগারে আরো হামলার হুমকিও দিয়েছে।

এই অবস্থায় নিরাপত্তার অজুহাতে শুক্রবার সৌদি আরব ও আরব আমিরাতে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত