ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় ৫০০ জঙ্গি!

ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় ৫০০ জঙ্গি!

পাকিস্তানের বালাকোটে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জইশ ই মহম্মদ জঙ্গিরা। সেখানে সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গি ক্যাম্প। সোমবার এ অভিযোগ করেছেন স্বয়ং ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।

চেন্নাইতে এক সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে রাওয়াত বলেন, পাক সেনার মদতে প্রায় ৫০০ জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারত নিজের ক্ষমতা বুঝিয়েছিল। কিন্তু এরপরও শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের।

তিনি আরো বলেন, ভারতের বিমান বাহিনীর পাইলটরা সেদিন পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছিল কী করে উচিত শিক্ষা দেওয়া যায়। প্রয়োজনে নিজের সীমান্ত সুরক্ষায় আবারও ঝাঁপিয়ে পড়বে ভারত।

মাত্র সাত মাস আগেই বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করে জইশ জঙ্গিদের ঘাঁটিতে আঘাত হানার দাবি করেছিলো ভারতীয় বিমান বাহিনী। তখন এক ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে গুলি করে ভূপতিত করে ভারতীয় পাইলটকে আটক করেছিলো পাকিস্তান। পরে ইমরান তাকে ভারত পাঠিয়ে দেন।

এখন ভারতের অভিযোগ, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে বালাকোটের সেই ঘাঁটিতে নাকি নতুন করে সক্রিয় হয়েছে জঙ্গিরা। সেখানে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কাশ্মীরে হামলা চালানোর জন্য।

পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে জইশের জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান প্রায় ১০০টি বোমা ফেলে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল জঙ্গিদের ঘাঁটিগুলো। এমনটিই দাবি করে থাকে নয়াদিল্লি। যদিও এই হামলার কথা স্বীকার করেনি পাকিস্তান। এমনকি এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলো আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোও।

সঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে মোদি সরকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। দু দেশের নেতারাই বিভিন্ন সময়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার হুমকি দিয়ে আসছে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জাতিসংঘ অধিবেশনে উত্থাপন করতে মুখিয়ে আছে। যদিও কাশ্মীর ইস্যুটিকে নিজেদের আভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা উপেক্ষা করতে তৎপর রয়েছে নয়াদিল্লি।

একই সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তে জঙ্গি বা পাক সেনারা মোতায়েন বা জড়ো হচ্ছে বলে সংবাদ পরিবেশন করছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো। যদিও এসব অভিযোগের বেশিরভাগেরই সত্যতা মিলে না।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত