পাকিস্তানি তরুণীদের পাঠানো হচ্ছে চীনের পতিতালয়ে!
বিভিন্ন সময় অভিনব কৌশলে চীনের যৌনপল্লীতে পাঠানো হচ্ছে পাকিস্তানের তরুণীদের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, অথবা বিয়ে করেই নারীদের অন্যত্র বিক্রির পরিচিত এই কায়দা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে।
বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত পাকিস্তানের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। পাকিস্তান থেকে নারী পাচারের এমন একাধিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষ। গত মে মাসে ১২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির শীর্ষ এক কর্তা জামিল আহমেদ বলেন, পাকিস্তানি নারীদের চীনে পাচার করে তাদের দিয়ে যৌনকর্মে করানোর খবর আমাদের কানে আসার পরেই এই গ্যাংয়ের ওপর নজর রাখছিলাম আমরা।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি গ্যাং এই কাজ করে। প্রধানত পাকিস্তানি খ্রিস্টান সংখ্যালঘুই এদের লক্ষ্য।
আহমেদ বলেন, আটককৃত ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা স্বীকার করেছে যে তারা কমপক্ষে ৩৬ জন পাকিস্তানি মেয়েকে চীনে পাঠিয়েছেন তারা, চীনে তাদের যৌনকর্মের জন্যই ব্যবহার করা হয়।
এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তারা জানায়, পাকিস্তানি নারী পাচারের সাম্প্রতিক রিপোর্ট যা দেখাচ্ছে, তাতে পাকিস্তানকে সতর্ক হওয়া উচিত।
এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুধু পাকিস্তান নয় নেপালের গরিব ঘরের নারীদেরও বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে চীনে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনা শিকার হন লামজুংয়ের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী এক নেপালি নারী। তিনি বলেন, ভারত নামে এক দালাল আমাকে জানায় যে চীনের এক নাগরিকের সঙ্গে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করে দেবে। পরে আমি রাজি হয়ে যাই।
ওই নেপালি নারী জানান, চীনের যাওয়ার জন্য আগস্টের ২৮ তারিখের একটি টিকেট দেওয়া হয়। সব ঠিক থাকলেও হঠাৎ করেই তিনি মত পরিবর্তন করেন।
নেপাল পুলিশের অ্যান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ব্যুরোর তথ্য মতে, ওই নারী পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কিন্তু মানব পাচারকারীদের তৈরি করা বিয়ের জালে ধরা পরে পাচারের শিকার হচ্ছেন হাজারও নারী।
পরে ৩১ আগস্ট নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে নেপাল পুলিশ। তারা সবাই নেপালী নারীদের চীনের নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার নাম করে বিক্রি করে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলো।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই