ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২০
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় মালুকু দ্বীপপূঞ্জে বৃহস্পতিবার সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে নিহত বেড়ে ২০ হয়েছে। ভূমিকম্পে আরো বহু মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া ধ্বংস হয়েছে বহু ঘরবাড়িও।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে মালুকু দ্বীপপূঞ্জ। এতে প্রচুর ভবন ধসে পড়ে। এসময় আতঙ্কিত লোকজনকে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসতে দেখা যায়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানায়, রিকটার স্কেলে এর মাত্র ছিলো ৬ দশমিক ৫। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিলো অ্যাম্বনয়ের ৩৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। ভূপৃষ্ঠে এর গভীরতা ছিলো ২৯ মাইল।
দুর্যোগ ব্যবস্থানা সংস্থার মুখপাত্র অগাস উইবোয়ো রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভূমিকম্পে ২০ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। এর আগে প্রাথমিক খবরে একজন নিহত হওয়ার কথা জানা গিয়েছিলো।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও জলবায়ু বিভাগের ভূমিকম্প ও সুনামি দপ্তরের প্রধান রহমত ত্রিয়োনো জানান, ‘অ্যাম্বন শহর ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসময় শহরের বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিল। অনেকে ঘুম থেকে কাঁপতে কাঁপতে জেগে উঠেছিল। তাদের মনে হচ্ছিলো যেন পাশ দিয়েই কোনো ভারী ট্রাক চলছে।’
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান, যে যেভাবে পারছে পাহাড়ের দিকে ছুটছেন। সবাই চলে যাওয়ায় গোটা শহর শান্ত। সুনামি হবে না শুনেও মানুষ আতঙ্কিত।
ভূমিকম্পের পরপরই শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। উদ্ধারকর্মীরা প্রথমে ইতিমধ্যে এক ব্যক্তির মরদেহ খুঁজে পেয়েছেন। ভূমিকম্পের সময় তিনি রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। পরে সাইকেল থেকে পড়ে তিনি মারা যান। পরে সবমিলিয়ে ২০ জন নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন তারা।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মালুকুর রাজধানী আম্বোনের বাসিন্দারা। ৪ লাখ জনসংখ্যার এই শহরটিতে বহু মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ভেঙে পড়েছে অনেক ঘরবাড়িও। রাজধানীর প্রধান একটি হাসপাতালও ধসে পড়েছে। সেখানকার রোগীদের ভবন থেকে বের করে হাসপাতালের মাঠা রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প কোনো নতুন ঘটনা নয়। গত বছর মালুকু প্রদেশে অবস্থিত সুলাওয়েসি দ্বীপ ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরপরই সেখানে আঘাত হানে সুনামি। এতে চার হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলো।
সূত্র: আল জাজিরা
এমএ/
