ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাশ্মীর বিতর্কের মধ্যেই মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-জিনপিং

কাশ্মীর বিতর্কের মধ্যেই মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-জিনপিং

কাশ্মীর নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই শুক্রবার তামিলনাডুর ঐতিহাসিক জনপদ মামাল্লাপুরমে সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এই বৈঠকে দুই নেতার আলোচনায় কাশ্মীর ইস্যুটি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন জিনপিং। শুধু বৈঠক নয়, ইমরানকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে কাশ্মীরের পরিস্থিতির দিকে তার নজর রাখছেন বলে মন্তব্যও করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। কাশ্মীর যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেকথা জানিয়ে ভারত রুটিন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঠিকই, কিন্তু মোদি-শি বৈঠকের ঠিক আগেই এই ঘটনায় বিরক্ত ভারতীয় কূটনৈতিকরা।

জিনপিংয়ের এবারের ভারত সফরকে ‘ইনফর্মাল’ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় যে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় উঠে আসবে তা নিশ্চিত। ভারতের তরফে স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাস নিয়ে কোণঠাসা করে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আবার চীনও আমেরিকার সঙ্গে তাদের যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে, তা সামলানোর জন্য ভারতের বাজারের দিকে আরও নজর দেবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিকমহল।

চীনা প্রেসিডেন্টকে নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে ভারত পাকিস্তানকে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছিল যে, বিশ্বের কোনও দেশই তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখেনি। তখনই জিনপিংয়ের কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য ভারতকে কিছুটা হলেও বিপাকে ফেলেছে। যদিও মোদি-শি বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠবে না বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে যে আর্থিক ঘাটতি হচ্ছে, তা ভারতের বাজার থেকে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা জিনপিং করবেন বলেই কূটনৈতিকমহলের ধারণা। যদিও ভারত সফরের আগে শি-র মন্তব্য নিয়ে সরকারের সমালোচনা করছে বিরোধীরা।

ভারত কেন হংকং নিয়ে চীনকে পাল্টা চাপ দিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি। কাশ্মীরের পাল্টা হংকংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভারতের নজর রয়েছে বলে চীনকে জবাব দেওয়া উচিত বলেই দাবি করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ৩৭০ ধারাটি বাতিল ঘোষণা করে ভারত। এরপর থেকে সেখানে লাখ লাখ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে কারফিউ আরোপ করা হয়। আটক করা হয় শত শত রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের। বন্ধ করে সেয়া হয় টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান। কাশ্মীর ইস্যুতে বরাবরই ইসলামাবাদকে সমর্থন করে আসছে চীন। এ নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনেও বিবৃতি দিয়েছে বেইজিং। এ অবস্থায় আজ মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ভারত সফরে আসা চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত