ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার হামলা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ২০:২৪  
আপডেট :
 ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ২০:২৭

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার হামলা
প্রতীকী ছবি

ইরানের ওপর সাইবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দুই তেল স্থাপনায় চালানো হামলার পর এ ব্যবস্থা নেয় ওয়াশিংটন। ওই হামলায় সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছিল। ওই ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের শরণাপন্ন হয় রিয়াদ। রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা না নিলেও সেপ্টেম্বরেই দেশটিকে সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ওয়াশিংটন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তেহরানের ‘অপপ্রচার’ ছড়ানোর সক্ষমতা লক্ষ্য করেই সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ওই অভিযান হয়েছিল। ইরান যাতে তাদের প্রচারণার সক্ষমতা হারায় সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র এ সাইবার হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।

সাইবার হামলার কারণে ইরানের অনেক হার্ডওয়্যার, বেশকিছু যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করলেও এ প্রসঙ্গে আর বিস্তারিত বলতে রাজি হননি এই কর্মকর্তা।

এদিকে রয়টার্সের এ প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে পেন্টাগন। পেন্টাগনের মুখপাত্র ইলিসা স্মিথ বলেন, নীতিগত কারণে এবং কাজের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে আমরা সাইবার হামলা, গোয়েন্দা কিংবা কোনো পরিকল্পনা নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা করি না।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটির তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গিয়েছিল।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও সৌদি আরব ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার জন্য সরাসরি ইরানকে দায়ী করে। তবে ইরান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। ওই হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে সৌদি আরব। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় দেশটি। কিন্তু দৃশ্যত তাদের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই নড়েচড়ে বসেন সৌদি যুবরাজ। মিত্র আমেরিকার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে তেহরানের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে এক রকম বাধ্য হন তিনি। পরে তেহরানের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শরণাপন্ন হন এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত