ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

নাগরিকত্ব হারানো বাবার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে বললো ছেলে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১৫

নাগরিকত্ব হারানো বাবার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে বললো ছেলে

ভারতের আসামে নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়া এক ব্যক্তির মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেছে তার পরিবার।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চার দিন ধরে মৃতদেহটি এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার তেজপুর ডিটেনশন ক্যাম্পে মারা যান ৬৫ বছর বয়সী দুলালচন্দ্র পাল।

গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শোণিতপুরের আলিসিঙ্গা গ্রামের এই বাসিন্দার।

তার পরিবারের দাবি, ভারতীয় নাগরিক বলে ঘোষণা না করা পর্যন্ত মৃতদেহ নেবেন না তারা। একপর্যায়ে পরিবারটির সঙ্গে দশ হাজারের মানুষ রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আসামের রাজ্য সরকার।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরো দু একদিন অপেক্ষা করবেন তারা, এরপর কীভাবে দেহের সৎকার্য করা যায় তা ভেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে দুলালচন্দ্রের মৃতদেহ ফিরিয়ে নিতে পরিবার ও গ্রামবাসীদের রাজি করানোর জন্য গত চার দিন ধরে তার বাড়িতে একাধিকবার প্রতিনিধি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার, যদিও এখনো পর্যন্ত অনুরোধে সাড়া দেননি তারা।

পরিবার জানায়, ২০১৭ সালে তাকে ভারতের অবৈধ নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ডায়াবেটিস এবং সাইক্রাটিকের চিকিৎসা চলছিল মানসিকভাবে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ দুলালচন্দ্র পালের। ১১ অক্টোবর তার পরীক্ষা করেন তেজপুর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা, সেদিনই তাকে ডিনেটশন সেন্টারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরিবার এবং গ্রামবাসীদের দাবি, দেহ ফিরিয়ে দিতে সঙ্গে একটি নথি নিয়ে আসেন কারাগারের কর্মকর্তারা। সেখানে তাকে ‘বিদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ঠিকানার জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে।

দুলালচন্দ্রের বড় ছেলে আশিস বলেন, তারা খুব ভালোভাবেই ঠিকানা জানতেন, তারপরেও জায়গাটি খালি রাখা হয়েছে। আমাদের মনে হয়, তারা বাংলাদেশের কোনো ঠিকানা দিতে পারতেন। যদি তিনি বাংলাদেশিই হন, কেন আমাদের কাছে আনা হয়েছে? তাদের, দেহ বাংলাদেশে পাঠানো উচিত।

তিনি বলেন, সরকার যদি ঘোষণা করে যে, তিনি বিদেশি নন বরং ভারতীয় নাগরিক, তাহলেই আমরা মৃতদেহ নেব।

এদিকে শোণিতপুরের ডেপুটি কমিশনার মানবেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, তাকে বিদেশি ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল, ফলে তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করা প্রশাসনের আওতার বাইরে। যদি তারা ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যেতে চান, আমরা তাকে আইনিভাবে সাহায্য করতে পারি। আমরা এই বিষয়টির সুরাহা চাই।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত