ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

লাদেনের মতো বাগদাদির লাশও সাগরে

লাদেনের মতো বাগদাদির লাশও সাগরে

মার্কিন বাহিনীর হামলার মুখে আত্মঘাতী হওয়া জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির মরদেহ সাগরে সমাহিত করা হয়েছে। সোমবার পেন্টাগনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

এ খবর সত্যি হয়ে থাকলে আরেক জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেনের মতোই ভাগ্য বরণ করতে হলো আইএস নেতাকেও।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের এবাটাবাটে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দা নেতা লাদেনের গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করে মার্কিন বিশেষ বাহিনী নেভি সিলের সদস্যরা। এরপর এই জঙ্গি নেতার মরদেহের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, তার লাশ সাগরে ফেলে দিয়েছে মার্কিন সেনারা। এবার বাগদাদির লাশেরও একই হাল হলো।

গত শনিবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা ইদলিবে আইএস প্রধানের গোপন সুড়ঙ্গে অভিযান চালায় মার্কিন এলিট ফোর্স। মার্কিন সেনাবাহিনীর হাতে ধরা না দিয়ে তিন ছেলেমেয়েসহ আত্মঘাতী হন বাগদাদি। এরপর তার মরদেহ সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে দাবি মার্কিন সেনাদের। তবে বাগদাদির লাশ কোন সমুদ্রে ফেলা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি মার্কিন সেনাবাহিনী।

এ সম্পর্কে মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মাইলি বলেন, তার শেষকৃত্য সম্পূর্ণ এবং যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথমে মার্কিন সেনারা জানিয়েছিল, শনিবার ইদলিব প্রদেশের বারিশা এলাকায় এক সামরিক অভিযানে নিহত হয়েছেন বাগদাদি। পরে যানা যায় মার্কিন সেনাদের হাতে নয়, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কাপুরুষ বাগদাদি কুকুরের মতো মরেছেন।’

রোববার সকালে হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘গত রাতে বিশ্বের এক নম্বর জঙ্গিনেতাকে দু’ঘণ্টার অভিযানে মেরে ফেলেছে মার্কিন বাহিনী। আবু বকর আল-বাগদাদি মৃত। তিনি আইএস গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও হিংস্র প্রতিষ্ঠানিএটি। আমেরিকা বহু বছর ধরে বাগদাদিকে খুঁজছিল। জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমার প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল, বাগদাদিকে ধরা বা মেরে ফেলা।’

এর আগে শনিবার রাতে আল বাগদাদির বাড়িতে অভিযান চালায় মার্কিন স্পেশাল ফোর্স। আটটি হেলিকপ্টার এ অভিযানে অংশ নেয়। প্রচণ্ড গোলাগুলির পর আমেরিকান কমান্ডোরা বাগদাদির বাড়িটি ঘিরে ফেলে। তারা দরজা দিয়ে না ঢুকে দেয়াল ভেঙ্গে বাড়ির আঙ্গিনায় ঢোকে। বাগদাদি সেসময় তার দুই স্ত্রী ও তিন বাচ্চাকে নিয়ে একটি বদ্ধ সুড়ঙ্গে লুকানোর চেষ্টা করেন।

অভিযানের বর্ণনা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘মার্কিন বাহিনীর তাড়া খেয়ে চিৎকার করতে করতে একটা বন্ধ-মুখ সুড়ঙ্গে দৌড়ে ঢুকে পড়েন আল-বাগদাদি। ওই চত্বরটা ততক্ষণে ফাঁকা করে দিয়েছে আমাদের কপ্টারগুলো। সেখানকার একটি বাড়ি থেকে ১১টি শিশুকে অক্ষত উদ্ধার করেছে তারা। তবে বাগদাদির তিন সন্তান তার সঙ্গেই ছিল। তারা এবং বাগদাদির দুই স্ত্রী মারা পড়েছে। আমাদের কুকুরের তাড়া খেয়ে বাগদাদি সুড়ঙ্গের শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। তারপরেই আত্মঘাতী জ্যাকেটের বোতাম টিপে নিজেকে উড়িয়ে দেন তিনি। বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার দেহ। তারও ১৫ মিনিট পরে সেখানেই দেহাংশ পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয়, ওটা বাগদাদিরই।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত