ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

আল কুরেশিকে কেন নেতা বানালো আইএস?

আল কুরেশিকে কেন নেতা বানালো আইএস?

আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বিশ্ব জুড়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। একই সঙ্গে নতুন দলীয় প্রধানের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। দলের নতুন নেতার নাম আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরেশি।

তবে আইএস তাদের নতুন নেতার বিষয়ে অনেক তথ্য সরবরাহ করেনি বা একটি ছবিও প্রকাশ করেনি। তাকে কেবল ‘জিহাদের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

আইএসের বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে, আল কুরেশি একজন প্রবীণ জিহাদি যোদ্ধা ছিলেন। তার অতীতে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তবে ‘আল-কুরেশি’ নামটি এটি স্পষ্ট করে যে তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) কুরাইশ গোত্রের বংশধর বলে ধারণা করা যেতে পারে। আর এটিই তার আইএসের খালিফা বা নেতা হওয়ার প্রধান যোগ্যতা।

এই ঘোষণার আগে বিবিসির আইএস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মীনা আল-লামি বলেছিলেন: ‘আইএস যদি কুরেশি নয় এমন কাউকে তাদের নেতা হিসাবে বেছে নেয়, তাহলে বুঝতে হবে যে তাদের পূর্ব ঘোষিত খিলাফত আর নেই।’

আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরেশির আইএসের নেতা হওয়াটা খানিকটা অপ্রত্যাশিত ছিল। কেননা ওই পদের সবচেয়ে প্রবল দাবিদার ছিল জঙ্গি সংগঠনটির ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’অবদুল্লা কারদাস। ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসাইনের সেনা কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। ইসলামিক স্টেটের নৃশংস আইনের প্রতি প্রবল আস্থা ও প্রচণ্ড শৃঙ্খলাপরায়ণ হওয়ায় এই নামে ডাকা হয় তাকে। হিংস্র স্বভাবের হলেও দলের কাছে বেশ জনপ্রিয় কারদাস।

আইএস পরিচালিত সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’জানিয়েছে, গত আগস্ট মাস থেকেই দলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভার কারদাসের উপর ছেড়ে দিয়েছিল বাগদাদি। জানা গিয়েছে, সুন্নি সম্প্রদায় অধ্যুষিত ইরাকের তাল আফার শহরে জন্ম হয় অবদুল্লা কারদাসের। কর্মজীবন শুরু হয় ইরাকি সেনাবাহিনীতে। কর্মদক্ষতার বলে শীঘ্রই অফিসার পদ পায় সে। ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালায় আমেরিকা। আল কায়দার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে বন্দি করা হয় কারদাসকে। জেলেই বাগদাদির সঙ্গে দেখা হয় তার। এরপর থেকেই তিনি ছিলেন বাগদাদির ছায়াসঙ্গী।

কিন্তু বাগদাদির এমন আস্থাভাজনকে বাদ দিয়ে আল কুরেশির মতো একজন আনকোড়া ব্যক্তিকে নতুন নেতা নিয়োগ দিয়েছে আইএস। যার সম্পর্কে ধরতে গেলে কোনো তথ্যই নেই বিশেষজ্ঞদের কাছেও। তবে তার সত্যিকারের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে সন্ত্রাসবিরোধী বিশ্লেষকরা।

এমনকি আইএসের সাধারণ কর্মীদের কাছেও তেমন পরিচিত নন আল কুরেশি। বৃহস্পতিবার এক টুইটে কমব্যাটিং টেররিজম সেন্টার এর মাসিক প্রকাশনা সিটিসি সেন্টিনেল এর সম্পাদক পল ক্রুইকশ্যাংক জানান, আইএসের অভ্যন্তরে খুব অল্প কয়েকজন ছাড়া আর কেউ তাদের নতুন নেতাকে চেনে না। দলটি এখনো ওই নেতার জীবনীসংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি, যার মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করা যায়। সাধারণত পদ পরিবর্তন হওয়ার পর নতুন নাম ধারণ করে আইএস নেতারা। এর অর্থ হচ্ছে আল-কুরেশির সত্যিকারের নামে এটি নয়, অন্যকিছু।

সূত্র: বিবিসি/ গার্ডিয়ান

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত