শুধু চা খেয়ে ২৭ বছর!
কোনো কারণে একদিন ভাত না খেলেই আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। তাই আমাদের আরেক নাম ‘ভেতো বাঙালি’। কিন্তু এমন এক নারীর খোঁজ পাওয়া গেছে যিনি গত ২৭ বছর ধরে ভাত, রুটি তো দূরের কথা কোনো স্বাভাবিক খাবারই খাননি। তিনি কেবল চা আর কলা খেয়ে বেঁচে আছেন। এই নারীর নাম ঊর্মিলা চতুর্বেদী। তিনি ভারতের মধ্যপ্রদেশের জবলপুর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানায়, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের ব্রত হিসাবে এই খাদ্যাভাসই বেছে নিয়েছিলেন ওই নারী। শনিবার অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এবার তার মুখে হাসি ফুটেছে। এবার তার প্রতীক্ষা অযোধ্যায় রামমন্দিরের জন্য। এর আগে তিনি কোনো স্বাভাবিক খাবার খাবেন না।
গত ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট যখন অযোধ্যা রায় দিচ্ছে তখন টেলিভিশনে চোখ আটকে ছিল ঊর্মিলা দেবীর। রায় শুনে দারুণ খুশি এই বৃদ্ধা। এত বছর ধরে তার এই খাদাভ্যাসকে নিয়ে অনেকে মস্করা করেছেন। অনেকে তাকে এই ব্রত থেকে সরে আসতে বলেছেন। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে এতটুকুও সরে আসেননি ঊর্মিলা দেবী।
মামলার রায় শোনার পর এবার তার রামমন্দির নির্মাণের অপেক্ষা। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থলে রামমন্দির নির্মিত হওয়ার পর রামের মূর্তির সামনে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে তবেই অন্ন স্পর্শ করবেন এই বৃদ্ধা।
অযোধ্যার রায় বেরনোর পর ঊর্মিলাদেবীকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে তার পরিবার। কিন্তু খেতে অস্বীকার করে তিনি জানান যতদিন না পর্যন্ত অযোধ্যায় গিয়ে রামের আশীর্বাদ পাচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত তিনি সব খাবার খাবেন না।
ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তারা এ নিয়ে যে প্রতিবাদ জানাবে সেই অবস্থাটুকু পর্যন্ত নেই। তাই ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত শনিবার বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি। ওই রায়ে অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থলে হিন্দুদের রামমন্দির তৈরির অধিকার দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে মুসলিমদের অন্যত্র পাঁচ একর জমি একর জমি দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টি ফোর
এমএ/