ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

গণপিটুনি দিয়ে হত্যা: ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০২

গণপিটুনি দিয়ে হত্যা: ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ভারতে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানে ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি ছেলেধরা সন্দেহে পাঁচজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে।

ওই ঘটনায় সোমবার ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কালনা আদালত। সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় দেওয়ার সময় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপনকুমার মণ্ডল মন্তব্য করেন, গত কয়েক বছরে গণপিটুনিতে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। এ রায় পুলিশের প্রতি আস্থা ফেরাবে।

পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, সাক্ষীদের নিরাপদ রেখে অভিযুক্তেরা যে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, সেটা প্রমাণ করা কঠিন ছিল। সে দিক থেকে এই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পুলিশের এক সূত্র জানায়, ঘটনার তদন্তকারী অফিসার হাসান পারভেজকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কালনার বারুইপাড়ার ওই মামলায় শুক্রবার ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দুই দিন পরে দেওয়া রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, সমরেশ হালদার, গণেশ দাস, তাপস রায়, নাজির শেখ, বাবু সরকার, প্রীতম কর্মকার, রাজু পাত্র, কুন্তল দেবনাথ, মিনতি হালদার, সুমন মণ্ডল ও সাগর বাছারকে।

রায় শুনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘গণপিটুনি এই মুহূর্তে জ্বলন্ত সমস্যা। এই রায় যুগান্তকারী।’

জানা যায়, গাছে কীটনাশক ছড়ানোর জন্য নদীয়ার রানাঘাট থেকে কালনার বারুইপাড়ায় যান কয়েক ব্যক্তি। তাদের ছেলেধরা সন্দেহে শুরু হয় গণপিটুনি। মারা যান অনিল বিশ্বাস এবং নারায়ণ দাস নামে দু’জন। গুরুতর জখম হন মধুমঙ্গল দাস, ব্যঞ্জন বিশ্বাস ও মানিক সরকার। পরে মৃত অনিল বিশ্বাসের ছেলে রাজু বিশ্বাস কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত