ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

চীনা পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য হচ্ছেন মুসলিম নারীরা

চীনা পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য হচ্ছেন মুসলিম নারীরা

চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিম নারীদের চীনা পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’ জানায়, কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারের অংশ হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ‘ঐক্য এবং পরিবার’ প্রকল্প হাতে নেয় বেইজিং। নয়া প্রোগ্রামের আওতায় হান গোষ্ঠীর চীনা পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য করা হচ্ছে উইঘুর নারীদের।

ওই নারীদের স্বামীরা বন্দি রয়েছেন চীনের বিভিন্ন ডিটেনশন শিবিরে। চীনা সরকারের নথিপত্রে উইঘুর পরিবারগুলোর সঙ্গে থাকা চীনা পুরুষদের তাদের‘আত্মীয়’বলে নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, উইঘুর অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতেই এই ডিটেনশন ক্যাম্পের ব্যবস্থা। এখানে বন্দিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্যের পাঠ দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, উইঘুর পরিবারে অনুপ্রবেশ করা হান চাইনিজ পুরুষরা সদস্যদের সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন এবং সমাজপন্থার দিকে পরিবারের সদস্যদের আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করেন।

কাশি প্রদেশের ইংজিশা কাউন্টির প্রফেসর ও ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির এক ক্যাডার জানান, তিনি যে জনপদটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন, সেখানে প্রায় ৮০টি পরিবারে হান চাইনিজ পুরুষরা প্রতি দু’মাসে ছয়দিন করে থাকেন। তাদের সঙ্গে খাবার খান, দিনরাত তাদের সঙ্গে থাকেন। জীবন সম্পর্কে কথা বলে একে অপরের প্রতি অনুভূতি জাগ্রত করার চেষ্টা করেন। বিশেষত শীতকালে একসঙ্গে কথা বলা, খাওয়া ছাড়াও তারা একই বিছানায় ঘুমান।

যে সমস্ত উইঘুর নারা ‘ঐক্য ও ফ্যামিলি’ প্রোগ্রামের আওতায় পাঠানো চীনা পুরুষদের সঙ্গে থাকতে চান না, তাদের বন্দি শিবিরে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত