ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারে ভূষিত গ্রেটা থানবার্গ

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারে ভূষিত গ্রেটা থানবার্গ

বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কিশোরী জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গ আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। পরিবেশ আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকার জন্য বুধবার তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ক্যামেরুনের শান্তিকর্মী দিভিনা মালুমকেও এই পুরস্কার দিয়েছে ডাচ সংস্থা কিডসরাইট। তারা দুজনই জলবায়ু ও জঙ্গি বিরোধী আন্দোলনের জন্য ১ লাখ ইউরো করে পাবেন।

বুধবার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৈলাশ সত্যার্থী। ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেছেন এই ভারতীয় নাগরিক। এর আগে পাকিস্তানের অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজায়ী এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই বিশ্বে চলমান জলবায়ু আন্দোলনের নেতা বনে গেছেন গ্রেটা থানবার্গ। তিনি প্রথমবারের মতো আলোচনায় এসেছিলেন ২০১৮ সালে। গত বছরের আগস্টে প্রতি শুক্রবার সে সুইডেনের পার্লামেন্টের সামনে একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করতো। ওই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, জলবায়ুর জন্য স্কুলে ধর্মঘট। এভাবে বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে মেয়েটি। এই কিশোরী জলবায়ু আন্দোলনকর্মীর ডাকে ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’কর্মসূচিতে সাড়া দিয়েছেন বিশ্বের কয়েক লাখ মানুষ।

তবে বুধবার থানবার্গ নিজে উপস্থিত থেকে শান্তি পুরস্কার নিতে পারেননি। কেননা জাতিসংঘের এক সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি এখন আটলান্টিক পাড়ি দিচ্ছেন। এর আগে সুইডেন থেকে চিলির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন গ্রেটা। তবে নৌকা, ট্রেন আর ইলেকট্রিক গাড়িতে করে প্রায় অর্ধেক পথ পাড়ি দেওয়ার পর জানা যায় এই সম্মেলনের ভেন্যু মাদ্রিদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েন গ্রেটা। এই পরিস্থিতিতে এখন আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে মাদ্রিদ যাচ্ছেন তিনি। আর কার্বন নিঃসরণ করায় যথাসম্ভব বিমান বা জ্বালানি চালিত যান এড়িয়ে চলেন তরুণ এই জলবায়ু কর্মী।

এক বার্তায় গ্রেটা জানান, এই পুরস্কারে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ও সম্মানিত বোধ করছেন তিনি। তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন জার্মান জলবায়ুকর্মী লুইসা মারি নুবার। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু সংকটই এই সময়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

এর আগে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন গ্রেটা। জিততে পারলে মালালা ইউসুফজাইকে হটিয়ে তিনিই হতেন সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী।

অন্যদিকে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ লড়াইয়ের জন্য একই সঙ্গে পুরস্কার পেয়েছেন দিভিনা মালুম। তিনি বলেন, ‘ক্যামরুন ও আফ্রিকায় নীতিনির্ধারকরা শিশুদের ভুলে গেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা ভুলে গেছেন। আমি সব শিশুদেরকে এই বিষয়ে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানাই।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত