ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

অমিতের ‘মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদে ধর্মঘটে অচল কাশ্মীর

অমিতের ‘মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদে ধর্মঘটে অচল কাশ্মীর

ব্যবসায়ীদের স্বতস্ফূর্ত ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার অচল হয়ে পড়েছিলো ভারত অধিকৃত গোটা কাশ্মীর উপত্যকা। বৃহস্পতিবার সেখানে বন্ধ ছিলো সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট। স্কুল কলেজ খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল নগন্য। সাম্প্রতিক সময়ে উপত্যকায় এত কঠোর বিক্ষোভ আর চোখে পড়েনি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার পার্লামেন্ট কাশ্মীরের পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর স্বাভাবিকই আছে। সেখানে উপযুক্ত সময়ে ইন্টারনেটও চালু করা হবে।’

তার এই মিথ্যাচারের জবাবে পরদিনই স্বতস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট পালন করেন ব্যবসায়ীসহ সেখানকার সাধারণ মানুষ। এসময় অনেকে অমিত শাহের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।

ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্থবির হয়ে পড়েছিলো রাজধানী শ্রীনগরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রাজধানীর পোলো ভিউ, লালচক, হরি সিং হাই স্ট্রিট, বোহরি কাদাল, মহারাজ গুঞ্জ, কারা নগর, হাওয়াল এবং নওশেরা এলাকার মার্কেট, দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে ব্যবসায়ীরা। বন্ধ ছিলো যান চলাচলও। তবে কিছু সরকারি অফিস, ব্যাংক ও পেট্রল পাম্পগুলো খোলা ছিল। ধর্মঘটের কারণে কাশ্মীরের বেশিরভাগ স্কুলেই শুক্রবার স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়। ধর্মঘটের কারণে কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষ ইউনিফর্ম না পরে পড়ুয়াদের স্কুলে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের এই নির্দেশেও কাজ হয়নি।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’ বলে উল্লেখ করেছেন এক শিক্ষক। এ প্রসঙ্গে শ্রীনগরের মহিলা কলেজের শিক্ষক আব্দুল মান্নান শেখ আরো বলেন, ‘আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়ে তিনি এখন আমাদের জ্ঞান দিচ্ছেন।’

কেবল ওই শিক্ষক নন, তার মিথ্যাচারের সমালোচনা করেছেন ছাত্রী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ কাশ্মীরের সর্বস্তরের মানুষ।

বোহরি কাদাল দোকান মালিকদের সংগঠনের একজন সদস্য নিয়াজ জান বলেন, ‘অমিত শাহের বক্তব্য উসকানিমূলক। কাশ্মীরে ১০০ দিনেরও বেশি নিরাপত্তা পরিস্থিতি জারি এবং গণপরিবহন বন্ধের বিষয়ের ঘটনায় এটা স্পষ্ট যেকাশ্মীরে ৫ আগস্ট যা ঘটেছিল (বিশেষ মর্যাদা বাতিল) জনগণ তা মেনে নেয়নি। অথচ উপত্যকার অনুভূতিকে এড়িয়ে সংসদে তিনি মিথ্যাচার করছেন।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত