ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

তরুণী চিকিৎসকের লাশের ওপরও চলেছিল নির্যাতন

তরুণী চিকিৎসকের লাশের ওপরও চলেছিল নির্যাতন

ভারতের হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে পাশবিক নির্যাতনের পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রিমান্ডে তারা জানিয়েছে, মৃত্যুর পরও লরির কেবিনে ওই তরুণীর মরদেহের ওপর একে একে চারজনই নির্যাতন চালিয়েছিল। এখবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদপ্রতিদিন।

পূর্ব পরিকল্পনামাফিক আলিয়াস আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চেন্নাকেসাভুলু প্রায় এক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালায় ওই তরুণী চিকিৎসকের ওপর। পরে প্রমাণ সরিয়ে ফেলতে পেট্রল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় মৃতের শরীরে।

এর আগে বুধবার সকালে হায়দরাবাদের সামশাবাদ টোলপ্লাজার সামনে স্কুটি রেখে সেখানে এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান ওই তরুণী চিকিৎসক। রাত সাড়ে ৯টার দিকে টোলপ্লাজার সামনে আসেন তরুণী চিকিৎসক। তিনি দেখেন, তার স্কুটির চাকা পাংচার হয়ে গেছে। সেইসময় দুজন লরিচালক এবং খালাসি তরুণীর কাছে আসেন। তারা তার স্কুটির চাকা সারিয়ে দেয়ার কথা বলেন। তাদের কথায় বিশ্বাস করেন তরুণী চিকিৎসক।

স্কুটি সারাতে নিয়ে যান দুজন। কিন্তু গ্যারেজ বন্ধ থাকার কথা বলে স্কুটি নিয়ে ফিরে আসেন তারা। সেই সময় বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন চিকিৎসক। তিনি শেষবারের মতো বোনকে বলেন, তার ভয় লাগছে। তারপর থেকে তরুণী চিকিৎসকের ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়।

তরুণীকে টেনেহিঁচড়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যায় তারা। এরপর সেখানে একে একে চারজনই তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ওই নির্যাতনের এক পর্যায়ে মারা যান ওই চিকিৎসক।

এরপর নিহতের মরদেহ লরির কেবিনে তুলে নেয় তারা। পুলিশ রিমান্ডে ওই চার যুবক জানিয়েছে, জাতীয় সড়ক দিয়ে লরিতে করে তরুণীর দেহ নিয়ে যাওয়ার পথে ওই চারজন পালাক্রমে ফের তার ওপর নির্যাতন চালায়। এরপর নম্বর প্লেট খুলে স্কুটিটিকে ফেলে দেওয়া হয়। জোগাড় করা হয় পেট্রল। পরে স্থানীয় এক ব্রিজের নিচে নিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় তরুণীর মরদেহ।

গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই তরুণীর সম্পূর্ণ অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। একটি লকেটের সূত্র ধরেই তার দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত