ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

মেয়েদের ডাক্তার বানাতে মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করছেন যে বাবা

মেয়েদের ডাক্তার বানাতে মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করছেন যে বাবা

আফগানিস্তানের সাহরানা এলাকার বাসিন্দা মিয়া খান। নিজে অশিক্ষিত হয়েও মেয়েদের পড়াশোনার জন্য মৃত্যুভয়কেও হেলায় অগ্রাহ্য করছেন তিনি। তালিবানি জঙ্গিদের রক্তচক্ষুকে অগ্রাহ্য করে প্রতিদিন মোটরবাইকে করে তিন মেয়েকে ১২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে স্কুলে দিয়ে আসেন তিনি। আর স্কুল ছুটি হওয়া পর্যন্ত বাইরে অপেক্ষা করেন। এরপর তাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। মিয়া খানের এই লড়াইয়ের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হওয়ার পরেই ভাইরাল হয়েছে। আর নেটিজেনদের হৃদয় জয় করেছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আফগানিস্তানের সাহরানা এলাকায় যথেষ্ট দাপট রয়েছে তালিবানের। তা সত্ত্বেও তিন মেয়ের পড়াশোনার ইচ্ছাকে সমর্থন জানিয়েছেন মিয়া খান। আর তাই বাইকে করে প্রতিদিন ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসেন। মেয়েরা স্কুলে ঢুকে যাওয়ার পরে ছুটি হওয়া পর্যন্ত বাইরে অপেক্ষা করেন। আর ছুটি হতেই ফের তাদের নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। বর্তমানে এটাই রুটিন হয়ে গিয়েছে তার। ওই এলাকায় কোনও নারী ডাক্তার নেই। তাই মেয়েদের পড়াশোনা করিয়ে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মিয়া খান বলেন, ‘আমি অশিক্ষিত। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাই। আমার এলাকায় কোনো নারী চিকিৎসক নেই। তাই মেয়েদের পড়াশোনা করিয়ে ডাক্তার বানাতে চাই। এই জন্য আমার ছেলে থাকলে যেরকম সাহায্য করতাম মেয়েদেরও সেরকম সাহায্য করছি। ওদের উচ্চশিক্ষিত করে তোলাই আমার জীবনের সবথেকে বড় লক্ষ্য।’

আফগানিস্তানে সুইডিশ কমিটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালিত স্কুলেপড়ছে মিয়া খানের মেয়েরা। সম্প্রতি মিয়া খানের ঘটনাটির কথা উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারপরই ওই সাহসী বাবার প্রশংসায় মেতে উঠে নেটিজেনরা। তাদের সবাই বলছে, এ রকম একজন বাবাকে নিয়ে গর্ব করা উচিত। উনি সত্যিকার অর্থেই একজন মহান ব্যক্তি।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত