কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

কলকাতার নন্দন ২ প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বর্ষ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘এখানে এসে শুনলাম আমাদের দেশের হিরো আলমও নাকি এখানে অনেক জনপ্রিয়। অবশ্য এটা হয়েছে ইন্টারনেট, বিশেষ করে বলা ভলো ইউটিউবের জন্য।’

ভারতে ভোটের লড়াই শুরু

মন্ত্রী ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে বলেন, আজ পৃথিবীকে ইন্টারনেট এক জায়গায় নিয়ে এসেছে। এখন আর কোনও রাজনীতিক সীমা রেখা বা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কোনও সংস্কৃতি কর্মকাণ্ডকে এক জায়গায় আটকে রাখতে পারবে না।

মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশে এই দুই দেশের সংস্কৃতির আদান প্রদানে আমাদের আরো কাজ করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বাগডোগরা বিমান বন্দরের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ স্থাপন করার বিষয়টি তিনি বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাচনা করবেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)-এর মহা পরিচালক রীভা গাঙ্গুলি এবং পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন বিষয়কমন্ত্রী দৌতম দেব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ। দর্শক আসন থেকে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস হাসান এবং অভিনেত্রী জয়া আহসান।

জয়া আহসান বলেন, দুই বাংলার মধ্যে চলচ্চিত্র আদান প্রদান আরো সহজ হলে ভালো হয়।

অভিনেতা ফৌরদৌস বলেন, কলকাতার নন্দনের সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। হঠাৎ বৃষ্টি এই নন্দনের প্রথম রিলিজ হয়েছিল। তিনি মনে করেন, দুই বাংলার মধ্যে চলচ্চিত্র শিল্পকে বিকশিত করার জন্য সরকারি পর্যায়ে বড় ভূমিকা নিতে হবে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ বলেন, নির্মাতা হিসাবে মনে হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে মুদ্রা বিনিময়ের নিয়মটাই আগে জরুরি, কারণ চলচ্চিত্র একটা শিল্প। এখানে যারা অভিনয় করেন তারা তো পারিশ্রমিক পান সেই পরিশ্রমিকটা ভিন্ন দেশে যেতে হলে মুদ্রা বিনিময় সহজ হওয়া প্রয়োজন। সেটা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুব নেই।

বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই চলচ্চিত্র উৎসব চলবে। কলকাতার নন্দন-২, ৩ এবং নজরুল তীর্থ-২ প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশের মোট ২৩টি ছবি প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল হারুনের ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’, হুমায়ূন আহমেদের ‘ঘেটুপুত্র কমলা’, সাইফুল ইসলাম মানুর ‘পুত্র’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’, তানভীর মোকাম্মেলের ‘জীবনঢুলি’, রওশন আরা নীপার ‘মহুয়া সুন্দরী’ উল্লেখযোগ্য।

এমএ/