প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০২:১৫
রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেয়া সাবেক মেয়র কারাগারে
রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেয়ার অভিযোগের মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
|আরো খবর
সোমাবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কুদরত-ই-এলাহি জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সুনামগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর সেলিম নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতারণার মাধ্যমে দুই রোহিঙ্গা নাগরিককে সুনামগঞ্জ পৌরসভা থেকে জন্মসনদ দেওয়ার মামলায় গত বুধবার সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ওই মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালত পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। তবে পরদিন বৃহস্পতিবার পৌর মেয়র নাদের বখ্ত ও আইনজীবী কাওসার আলম একই আদালত থেকে জামিন নেন।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে আসেন দুই রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা দুজনই সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার চার ব্যক্তির সহায়তায় সুনামগঞ্জে আসেন। ঘটনার দিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আসলেও বিকেলে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে তাদের কথাবার্তায় কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন তারা।
ওই দিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের ফরহাদ আহমদ, রামনগর গ্রামের নূর হোসেন, সুজাতপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন ও আমির উদ্দিনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার। পরে ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
তদন্ত শেষে গত ২১ অক্টোবর এজাহারভুক্ত চার আসামি ছাড়া তদন্তে আরও পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন-
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
মঞ্জুর হত্যা: এরশাদসহ দু’জনকে অব্যাহতির আদেশ
বাংলাদেশ জার্নাল/আর