ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

কচুরিপানা দিয়ে শোল মাছের মজাদার রেসিপি (ভিডিও)

কচুরিপানা দিয়ে শোল মাছের মজাদার রেসিপি

গতকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন পোর্টালগুলোতে একটি মন্তব্য বা নিউজ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে-সেটি হলো পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান একটি অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন, ‘গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারব না’।

সোমবার দুপুরে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণায় অবদান রাখায় দু’জনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কিনা। কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনো মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’ তিনি মূলত কচুরিপানা নিয়ে গবেষণার কথা বলেছেন।

পরিকল্পনামন্ত্রীর এমন মন্তব্যে অনেকেই কটূক্তিও করেন।

কচুরিপানা দিয়ে কাগজের মণ্ড তৈরির পাশাপাশি বায়ো ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বের অনেক দেশ। শুধু তাই নয়, কচুরিপানা আসলেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় কম্বোডিয়ায়। দেশটির মানুষ কচুরিপানা লতি আর ফুল ব্যবহার করে অসাধারণ একটি মাছের স্যুপ তৈরি করে, যা তাদের নিত্যকার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।

আরো পড়ুন: কচুরিপানা খাওয়ার পন্থা খুঁজতে বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী

আপনাদের জন্যে আজ দেয়া হলো কচুরিপানার মজাদার একটি রেসিপি...

যা যা লাগবে: কচুরিপানার ফুল ও লতি, শাক পাতা, শোল মাছ, রসুন, আদা, লাল মরিচ, বিশুদ্ধ পানি, লবণ।

প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে শোল মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে হবে। এরপর কচুরিপানা থেকে ফুলসহ লতি আলাদা করে নিতে হবে। এরপর শাক পাতা কুচি করে কেটে নিতে হবে। এরপর চুলায় পানি গরম করে তাতে রসুন কোয়া ও আদা ছিলে পিষে দিয়ে দিতে হবে। পরে ধুয়ে পিচ করে রাখা মাছের টুকরা দিয়ে দিতে হবে। মাছ সিদ্ধ হয়ে আসলে এতে একে একে কেটে রাখা শাক পাতা, কচুরিপানার ফুল ও লতি দিয়ে দিতে হবে। এরপর লাল মরিচ ফালি করে কেটে দিয়ে দিতে হবে। সবশেষে লবণ দিয়ে ফুটাতে হবে। ১০ মিনিট বাদে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

উল্লেখ্য, কচুরিপানার আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। এটি মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। কচুরিপানা খুবই দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে যা ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদগম ঘটাতে পারে। সবচেয়ে পরিচিত কচুরিপানা Eichhornia crassipes রাতারাতি বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রায় দুই সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর কাণ্ড থেকে দীর্ঘ, তন্তুময়, বহুধাবিভক্ত মূল বের হয়, যার রঙ বেগুনি-কালো। একটি পুষ্পবৃন্ত থেকে ৮-১৫টি আকর্ষণীয় ৬ পাঁপড়ি বিশিষ্ট ফুলের থোকা তৈরি হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত