ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইন কী, কখন দরকার? (ডিডিও)

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২০, ১৫:০৮  
আপডেট :
 ২৩ মার্চ ২০২০, ১৫:১৭

আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইন কী, কখন দরকার?
প্রতীকী ছবি

বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই অবস্থায় এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশনের মতো শব্দগুলো বার বার উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু অনেকের কাছে এই শব্দগুলোর অর্থ এখনো অজানা। আবার অনেকেই এগুলোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

চলুন জেনে নিই কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন কী?

কোয়ারেন্টাইন: করোনা ভাইরাসের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পরপরই তার উপসর্গ দেখা দেয় না। তাই করোনা আক্রান্ত দেশ ঘুরে আসার পর বা আক্রান্ত রোগী সংস্পর্শে আসার পর হতে পারে সংক্রমণ। আসলেই কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত কি-না তা পরিষ্কার হতেই সময় লাগে সপ্তাহ খানেক। আর এজন্যই রাখা হয় কোয়ারেন্টাইনে।

অন্য রোগীদের কথা ভেবে এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয় না। এখানেও সময়সীমা ১৪ দিন। এসময় বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়, রোগীর সঙ্গে কম যোগাযোগ করতে বলা হয়। মেনে চলতে হয় স্বাস্থ্যবিধি।

আইসোলেশন: কারও শরীরে যদি করোনা ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হয় অর্থাৎ কারও যদি করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে তবে তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এসময় চিকিৎসক এবং নার্সদের তত্ত্বাবধানে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে থাকতে হবে। এর মেয়াদ ১৪ দিন। রোগীর অবস্থা দেখে বাড়ানো হয় মেয়াদ।

এসময়ের মধ্যে রোগীর সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয় না সাধারণত। এসময়ের মধ্যে রোগীকে কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয় যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা অনেকেই এ পদ্ধতিতে সুস্থ হন আবার যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের পক্ষে সুস্থ হয়ে ওঠা কঠিন হয়ে যায়।

হোম কোয়ারেন্টাইন: কোনো ব্যক্তি যখন বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনের সকল নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের সাথে ওঠাবসা বন্ধ করে আলাদা থাকেন, তখন সেটিকে হোম কোয়ারেন্টাইন বলা হয়। কোনো ব্যক্তি যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরেন তাকে হোম কোয়রান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও কমপক্ষে ১৪ দিন তিনি কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলবেন।

স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন: কোনো ব্যক্তি যখন সকল প্রকার সামাজিকতা থেকে দূরে থেকে ঘরের মধ্যে অবস্থান করেন তখন সেটি স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন। এক্ষেত্রে ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত নাও হতে পারেন। আবার হয়তো তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ ভ্রমণও করেননি। বরং, এই ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য নিজেকে আলাদা রেখেছেন।

আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইন কী, কখন দরকার জানতে ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত